পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
‘যুক্তরাষ্ট্র তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি রোড ম্যাপে কাজ করছে তা অনেক লোককে অবাক করে দেবে এবং এটি সময়ের চেয়ে শিগগিরই আশা করা যেতে পারে’ -এমনটাই মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানের জন্য নতুন মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি টম ওয়েস্ট। মঙ্গলবার ব্রাসেলসে একটি ব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেছেন যে, ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে আইএসআইএস-এর সহযোগী সংগঠনের হামলার বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং সেখানে আল কায়েদার চলমান উপস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ওয়েস্ট বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে তালেবান সরকার এবং এর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ে ওয়াশিংটনে নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে ‘ট্রয়কা প্লাস’-এর বৈঠক শেষে মার্কিন কোয়াড মিত্রের সাথে আলোচনা করতে দিল্লি যাবেন। এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে তাস জানায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দূত জমির কাবুলভের সাথে টেলিফোন কথোপকথনের সময় ওয়েস্ট বলেছেন যে, তিনি রাশিয়ান পক্ষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য মস্কোতে আসতে চান। তদানুসারে, আগামী সোমবারের জন্য দু’পক্ষের মধ্যে একটি ‘ওয়ার্কিং ভিজিট’ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের পটভ‚মিতে ওয়েস্ট তালেবান সরকারের মার্কিন স্বীকৃতির বিষয়ে এসব তথ্য দেন। তিনি বলেন, ‘ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে তালেবান সরকারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি দিতে ইসলামাবাদ অন্তর্বর্তীকালীন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের বিশেষ দূতদের আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত।’
তবে বিস্ময়করভাবে সামগ্রিক বিষয়ে ইসলামাবাদে ট্রয়কা প্লাসের মিটিংয়ের বিষয় অজানা ছিল বেইজিংয়ের। মঙ্গলবার গেøাবাল টাইমস-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মুত্তাকির পাকিস্তান সফর সম্ভবত পারস্পরিক উদ্বেগের বাস্তব বিষয় নিয়ে আলোচনার লেনদেন হতে পারে, যার মধ্যে পাকিস্তান সরকার এবং পাকিস্তানি তালেবানদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে আফগান তালেবানের ভ‚মিকা রয়েছে। ‘রিপোর্টে অনুমান করা হয় যে, ‘একটি সম্ভাবনা হল যে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে একটি সংলাপ স্থাপন করার পর তারা সম্মিলিতভাবে বা স্বাধীনভাবে তালেবান শাসনকে স্বীকৃতি দেবে।’
চীনের অনুমানের বিপরীতে, বাইডেন প্রশাসন পুরোটা সময় তালেবান এবং ইসলামাবাদের সাথে সরাসরি কথা বলেছে এবং বেইজিংকে বাদ দিয়েছে। ফলে, কাবুলে কিংমেকার হিসাবে চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য একটি ধাক্কা খেয়েছে। সামগ্রিকভাবে বিশ^ রাজনীতির দুর্দান্ত খেলাটি ক্রমেই ধারা পরিবর্তন করছে।
প্রকৃতপক্ষে, উল্লেখিত ঘটনাগুলো আঞ্চলিক প্রান্তিককরণকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। এটি শুরুর জন্য, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিবেচনাধীন রোড ম্যাপ-এর ক্ষেত্রে পাকিস্তান ওয়াশিংটনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে ফিরে এসেছে। নিঃসন্দেহে আফগানিস্তানে একটি কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের মতোই মনে করে যে, তালেবানের মধ্যে প্রগতিশীল উপাদানগুলো সমর্থন পাওয়ার যোগ্য। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমন্স ডিফেন্স কমিটির কাছে প্রমাণ প্রদান করে চিফ অফ দ্য ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল স্যার নিক কার্টার বলেছেন, ‘তালেবান-২ ভিন্ন। তালেবান ২-এ অনেক লোক রয়েছে যারা আরো আধুনিক উপায়ে শাসন করতে চায়, কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে বিভক্ত, যা রাজনৈতিক সত্তাগুলোর মধ্যে প্রায়শই ঘটে থাকে।’ সূত্র : ইউরেশিয়া নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।