পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে তালেবান থেকে পদত্যাগ করা কমান্ডার সালাহুদ্দিন আইয়ুবি কাবুল ছেড়েছেন। তিনি এখন উত্তর আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশে নিজ ঘাঁটিতে অবস্থান করছেন। তালেবান থেকে সম্পর্ক ছিন্নকারী এই কমান্ডারের আপত্তি ছিল, তালেবানের মধ্যে জাতিগত দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ক্ষমতার একচেটিয়া আধিপত্যবাদ এখন তালেবানের মধ্যে ঢুকে পড়েছে বলে তার দাবি। খামা প্রেসের খবর। বিবিসির বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, সালাউদ্দিন আইয়ুবি তালেবানের সাথে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার আপত্তি, তালেবান প্রশাসনের কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য সংস্কার ও পরিবর্তন না করা পর্যন্ত তিনি তালেবানের সাথে থাকবে না। আইয়ুবি তালেবানের মধ্যে কয়েকটি সংস্কার দাবি করেছেন। এগুলো হলো- অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন, শিক্ষায় নারীদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার এবং জনগণের জমি-জিরাত জোরপূর্বক দখল বন্ধ করতে হবে। তার দাবি, তালেবান তার পরামর্শগুলোর সাথে একমত পোষণ করে না। তালেবানের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করায় আইয়ুবি ইতোমধ্যে তালেবান থেকে তার পদ হারিয়েছেন। তালেবান সরকার তাকে গ্রামীণ উন্নয়নবিষয়ক উপমন্ত্রী করেছিল। কিন্তু পদটি তিনি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। তালেবান নেতাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং জাতিগত দ্বন্দ্বের প্রতিক্রিয়ায় তিনি তালেবান থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। সালাউদ্দিন আইয়ুবি উত্তর আফগানিস্তানের উজবেক তালেবান গ্রুপের নেতা। ২০২১ সালের আগস্টে কাবুলে প্রবেশকারী এবং রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ দখলকারী তালেবান নেতাদের একজন। এর আগে তালেবানের আরেক ‘অসন্তুষ্ট’ নেতা হাজারা কমান্ডার তালেবান থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।