মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে জাতিসংঘ আবহাওয়া সম্মেলনে প্রকাশিত খসড়া চুক্তিতে আগামী বছরের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা জোরদার করার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। নথিটিতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মারাত্মক প্রভাবগুলি মোকাবেলায় ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোকে অবশ্যই আরও বেশি সহায়তা দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে দেশগুলোর আগামী বছরের শেষ নাগাদ দীর্ঘ মেয়াদি কৌশল জমা দেওয়া উচিত বলেও এতে মন্তব্য করা হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই খসড়া চুক্তিতে প্রয়োজনের তুলনায় পদক্ষেপ কম বলে মত সমালোচকদের কিন্তু এতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার ওপর জোর দেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন অন্যরা। বুধবার সকালে জাতিসংঘের প্রকাশিত এই নথিটি নিয়ে আগামী তিন দিন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো আলোচনা করবে এবং তাদের সম্মতি সাপেক্ষে এটি চূড়ান্ত হবে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসণ ৪৫ শতাংশ হ্রাস করতে হবে আর ২০৫০ সালের মধ্যে সামগ্রিকভাবে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এমনটি করা না গেলে আবহাওয়া পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব দেখা দিতে শুরু করবে। প্রাক-২০৩০ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আগামী বছরের কপ সম্মেলন থেকে শুরু করে প্রতি বছর মন্ত্রী পর্যায়ের শীর্ষ বৈঠক করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে এই খসড়া নথিতে। আগামী বছরের জাতিসংঘ আবহাওয়া সম্মেলন মিশরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ২০৩০ এর লক্ষ্যটির গুরুত্ব তুলে ধরে নথিটিতে উদ্যোগগুলো কীভাবে রূপায়িত হচ্ছে তা বিবেচনা করতে ২০২৩ সালে বিশ্ব নেতাদের বৈঠকে ডাকার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে বলা হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। নথিতে এই বিষয়টিও রাখা হয়েছে। ধনী দেশগুলোকে তাদের পদক্ষেপ বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে এবং দরিদ্র দেশগুলো আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া আন্দোলনকারীরা নথিটির এই অংশটিকে দুর্বল অভিহিত করে এটি ‘আমলাতান্ত্রিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার জন্য’ রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। নথিতে ধাপে ধাপে কয়লার ব্যবহার বন্ধ ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, কিন্তু এই ইস্যুতে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বা লক্ষ্য বেধে দেওয়া হয়নি। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।