Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিশেষ পরিবহন চালুতে গুরুত্ব বিশেষজ্ঞদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

জার্মানির দ্যা গ্লোবাল লেবার ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর যৌথ উদ্যোগে গতকাল ‘গ্রীণ ট্রান্সপোর্ট এন্ড জাস্ট ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের জন্য গ্রীণ পরিবহনের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্ছ এবং করণীয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। কর্মশালটি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিআইপির জেনারেল সেক্রেটারী ও আরবান রেজিলেন্স স্পেশালিস্ট শেখ মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান। আরো বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. এস এম মোর্শেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শেখ তৌহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গ্রীন ট্রান্সপোর্ট ধারনাটি টেকসই নগর ও জনপদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দারুণভাবে সহায়ক হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকাসহ সব মহানগরে গ্রীন ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে নগরবাসী এর সুফল পাবে। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় গ্রীন ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবহার চালু করতে না পারলে এসডিজি ১১ অনুচ্ছেদে বর্ণিত টেকসই নগর ব্যবস্থাপনার বাস্তবায়ন অর্জিত হবে না। এক গবেষণায় দেখা গেছে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে ঢাকায় ১৫ শতাংশ বায়ু দূষিত হচ্ছে, সবচেয়ে বেশী কার্বন নিঃসরণ হয় ট্রাক ও বাস থেকে। এছাড়া স্বল্প জীবাশ্ম জা¦ালানী, যানজটও ঢাকার বায়ু দূষণের কারণ। গ্রীন ট্রান্সপোর্টের প্রধান জ্বালানি মূলত নবায়নযোগ্য শক্তি, সৌর শক্তি কিংবা বায়োগ্যাস থেকে আসে যা পরিবেশবান্ধব।

পেট্রোলচালিত যানবাহনের মতো গ্রীন ট্রান্সপোর্ট মাধ্যমে জ্বালানি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়না। পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারণে গ্রীন ট্রান্সপোর্ট গ্রীনহাউস গ্যাস কমিয়ে পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু ঝুকিঁ নিরসনে সহায়ক হবে। পরিবেশবান্ধব বাহন হিসেবে সাইকেলের ব্যবহার সারা পৃথিবীতে বাড়লেও বাংলাদেশে সাইকেলের ব্যবহার এখনো জনপ্রিয় হয়নি। পরিবেশবান্ধব বাহন হিসেবে সাইকেলের ব্যবহার বাড়াতে সাশ্রয়ী মূল্যে সাইকেল সরবরাহ করে শহরে সাইকেলের জন্য আলাদা লেন করা যেতে পারে।

মূল বক্তব্যে বিআইপির জেনারেল সেক্রেটারী ও আরবান রেজিলেন্স স্পেশালিস্ট জনাব শেখ মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান বলেন, পরিবহন খাত থেকে ১৫% কার্বন নিঃসরণ হয়, তাই পরিবেশ বান্ধব যানবাহন চালু করতে হলে বিকল্প জ্বালানীর উৎস খুজে বের করতে হবে। তিনি যানবাহনজনিত দুষণ প্রতিরোধে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা, এনার্জি ইফিসিয়েন্ট যাববাহন ব্যবহার ও যানবাহন তৈরিতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহারের সুপারিশ করেন। তিনি আরো বলেন, সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদনের সময় গ্রীন ট্রান্সপোর্ট সংক্রান্তবিষয়সমূহ বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পরিবেশ বান্ধব সবুজ যানবাহন ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তবে এখানো নীতি নির্দেশনা ও পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের মধ্যে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে, টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এ ঘাটতি দুর করতে হবে।

ইউএনডিপি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. এস এম মোর্শেদ বলেন, গ্রীন ও ক্লিন ঢাকা গড়তে হলে গ্রীন ট্রান্সপোর্ট এর বিকাশ করতে হবে। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ নিবন্ধিত যানবাহনকে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ চালিত করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব জোরদার করতে হবে। এছাড়া নগর পরিকল্পনায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শের পাশাপাশি সড়ক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরকে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির ওপর দক্ষতা বাড়াতে হবে। ###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ