প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বর্তমান সময়ের বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম সারা আলি খান। সাইফ আলি খান ও অমৃতা সিংয়ের বড় মেয়ে বলিউডে পা রেখেই সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। শুধু অভিনয় না, নম্রতা ভদ্রতার জোরেও তিনি নজর কেড়েছেন সকলের। নিজের মায়ের প্রতি যেমন তার দায়িত্ববোধ, তেমনি বাবা ও সৎ ভাইদের প্রতিও উদাসীন নন সারা। তিনি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবা-মায়ের ডিভোর্স নিয়েও মুখ খুলেছেন।
সাক্ষাৎকারে বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সারা জানান, তার যখন মাত্র নয় বছর বয়স সে সময়েই আলাদা হয়ে যান সাইফ-অমৃতা। এত বছর পর বিষয়টা নিয়ে বলতে গিয়ে সারা জানান, ছোট থেকেই অন্যদের তুলনায় তার মানসিক বৃদ্ধিটা একটু তাড়াতাড়িই হয়েছে। তাই মাত্র নয় বছর বয়সেই তিনি বুঝতে শিখেছিলেন, বাবা মা এক বাড়িতে থেকে ভাল নেই। তবে নাকি তার ভাবনাটাই সত্যি হয়েছিল।
সারার কথায়, “দুটো আলাদা বাড়িতে থাকতে শুরু করায় হঠাৎ করেই তাদের খুব খুশি দেখা গেল। যেমন, আমার মা যাকে আমি দশ বছর ধরে হাসতে দেখিনি, হঠাৎ করেই তাকে অনেক খুশি লাগল, সুন্দর লাগল। আমার বাবা মা দুজনেই যদি আলাদা থেকে ভাল থাকে তাহলে আমি কেন বিষণ্ণ হব?” সারা আরো জানান, অনেক বছর পর নিজের মাকে আবার প্রাণোচ্ছ্বল দেখেছেন তিনি। তাই বিচ্ছেদটা নিয়ে তিনি খুশিই ছিলেন।
এছাড়া ছোটবেলায় নাকি সারা ভাবতেন তার বাবা-মা দুজনেই খুব খারাপ মানুষ। সারার ধারনা ছিল, সাইফ সবসময় গালাগালি দিয়ে কথা বলেন আর অমৃতা পর্ন সাইট চালান। ‘ওমকারা’ আর ‘কালিযুগ’ দেখে নাকি এই ধারনা হয়েছিল সারার। ‘ওমকারা’তে অভিনয় করেছিলেন সাইফ আলি খান আর ‘কালিযুগ’-এ দেখা গিয়েছিল অমৃতা সিং কে। এছাড়া সারা
সেই সাক্ষাৎকারে সারা জানান, নিজের বাবা মাকে খারাপ মানুষ ভেবে খুব মনমরা হয়ে থাকতেন তিনি ছোটবেলায়। তার উপর আবার নেগেটিভ চরিত্রে সেরা অভিনেতা অভিনেত্রীর জন্য মনোনীত হয়েছিলেন সাইফ-অমৃতা, তাও আবার একই বছরে। ছোট্ট সারা বিষয়টা একেবারেই ভাল ভাবে নেননি।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে নিজের থেকে বয়সে ১০ বছরের বড় অভিনেত্রী অমৃতা সিং-কে বিয়ে করেন সাইফ। এরপরই এই দম্পতির কন্যা সারা আলি খান এবং ছেলে ইব্রাহিম আলি খানের জন্ম হয়। সাইফ-অমৃতা দম্পতির ২০০৪ সালে বিচ্ছেদ হয়। ২০১২ সালে কারিনা কাপুর খানকে বিয়ে করেন সাইফ। বিয়ের পর পতৌদি দম্পতির আরও দুই ছেলে হয়েছে তৈমুর এবং জেহ। কিন্তু বাবা হিসেবে সারা-ইব্রাহিমের প্রতি সব সমস্ত দায়িত্ব সর্বদাই পালন করে এসেছেন পতৌদি নবাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।