মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তায় পারমাণবিক সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মিথ্যাচার করেছেন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিবিসির খবরে বলা হয়, ইতালির রোমে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্রোঁ এ কথা বলেন।
সোমবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। অবশ্য যেকোনো ধরনের অসততা এবং মিথ্যার কথা অস্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। গত সেপ্টেম্বরে বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর ও সাবমেরিন ইস্যুতে তীব্র টানাপোড়েনের পর ইতালির রাজধানী রোমে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হন এই দুই সরকারপ্রধান।
বিবিসি জানিয়েছে, রোমে জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে সামনে পান অস্ট্রেলিয়ার এক সাংবাদিক। সেসময় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে মিথ্যাবাদী মনে করেন কি না, ম্যাক্রোঁকে এমন প্রশ্ন করে বসেন ওই সাংবাদিক। জবাবে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি মনে করি না, আমি জানি (তিনি মিথ্যাবাদী)।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে আবারও বিশ্বাস করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্ন করেন ওই সাংবাদিক। জবাবে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমরা দেখবো তিনি কী কাজ করেন।’
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ‘আপনাদের দেশকে আমরা অনেক সম্মান করি। আপনাদের দেশের সকলের জন্য আমাদের ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব রয়েছে। আমি কেবল এতটুকই বলতে চাই যে, আমরা যখন আপনাকে সম্মান করবো- তখন আপনাকে সৎ থাকতে হবে এবং আপনার আচরণও হতে হবে যথাযথ মূল্যবোধ অনুযায়ী।’
তবে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের অসততা এবং মিথ্যার কথা অস্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের জবাবে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে কোনো মিথ্যা কথা বলেননি।
স্কট মরিসন দাবি করেন, প্রচলিত ও গতানুগতিক সাবমেরিনের মাধ্যমে এখন আর অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা চাহিদা মিটবে না। এই কথাটি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে আমি আগেই জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে করা অস্ট্রেলিয়ার একটি চুক্তি বাতিলের পর দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। ওই চুক্তির আওতায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ১২টি প্রচলিত সাবমেরিন তৈরি করার কথা ছিল।
পরবর্তীতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নতুন একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করে অস্ট্রেলিয়া।
এই চুক্তির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের মালিক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটা হলে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের সপ্তম দেশ হিসেবে এই সাবমেরিনের মালিক হবে।
চুক্তির আওতায় মিত্ররা সাইবার সক্ষমতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্য গভীর সমুদ্রে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
চুক্তি বাতিলের পর মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে ফ্রান্সের। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ-ইভ লে দ্রিয়াঁ এটিকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ হিসেবে উল্লেখ করে একে ‘মিত্র ও অংশীদারদের মধ্যে অগ্রহণযোগ্য আচরণ’ বলে বর্ণনা করেন। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।