Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এবারের জলবায়ু সম্মেলনের প্রধান খেলোয়াড় যারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ৫:২৪ পিএম

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তের প্রত্যাশায় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘কপ-২৬’। রোববার থেকে শুরু হওয়া জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে ১৯৭টি দেশের প্রতিনিধিরা ২০৩০ সালের মধ্যে তারা কীভাবে কার্বন নিঃসরণ কমাবেন এবং পৃথিবী নামক গ্রহকে সাহায্য করবেন, তার ঘোষণা দেবেন। সেখানে উন্নত, উন্নয়নশীল আর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর, কার কী এজেন্ডা থাকছে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।

বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্য অর্জন কতটা সম্ভব তা অনেকাংশে নির্ভর করে বিশ্বের সর্বোচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীনের কর্মকাণ্ডের উপরে। ২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, যা বিজ্ঞানীদের বেঁধে দেয়া লক্ষ্যের চেয়ে ১০ বছর পিছিয়ে। ২০২৬ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার বন্ধের ঘোষণাও এসেছে। এবারের সম্মেলনে সহ পরিবেশমন্ত্রীকে পাঠাচ্ছে চীন, যা বড় ধরনের কোনো ঘোষণার পথে বড় বাধা বলে মনে করছেন অনেকে।

কার্বন নিঃসরণে চীনের পরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। ট্রাম্পের বিদায়ের পর চলতি বছর আবারও জলবায়ু আলোচনায় ফিরেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্যারিস চুক্তিতে ফেরার পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বণ নিঃসরণ ২০০৫ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট নীতির অভাব গ্লাসগো সম্মেলনে চীন, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলোকে চাপে রাখার ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে মনে করছেন কূটনৈতিক ও এনজিওকর্মীরা।

এবারের সম্মেলন নিয়ে ভীষণ আশাবাদী আয়োজক দেশ যুক্তরাজ্য। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে কয়লাকে ইতিহাসের পাতায় নিয়ে যাবেন বলে উল্লেখ করেছেন সম্মেলনের নেতা ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা। ২০৫০ সালের মধ্যে নিট কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি আছে যুক্তরাজ্যের। উত্তর সাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধে চাপ আছে বরিস জনসন সরকারের উপরে। সেক্ষেত্রে দেশটিকে সামনের দিনে আমদানিকৃত জ্বালানির উপর নির্ভরশীল হতে হবে।

বিশ্বের আট ভাগ গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের দায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোটের ২৭ দেশের। তবে গত কয়েক বছর ধরেই তাদের নিঃসরণের মাত্রা পড়তির দিকে। ১৯৯০ সালের পর্যায়ের চেয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ নিট নিঃসরণ অন্তত ৫৫ শতাংশে আর ২০৫০ সালে শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য তাদের। গত দুই বছর ধরেই তাপদাহ আর বন্যার মতো বৈরি জলবায়ুর মুখোমুখি হচ্ছে তারা।

স্বল্পোন্নত দেশ ৪৬টি। ১০০ কোটি নাগরিক আছে এই দলে। তারা ছড়িয়ে আছে আফ্রিকা, এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে। উন্নত দেশগুলোর মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের ভুক্তভোগী মূলত বাংলাদেশসহ এই দেশগুলোই। আফ্রিকান গ্রুপ অব ন্যাশনস, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সাথে মিলে এলডিসি দেশগুলোর লক্ষ্য থাকবে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নত দেশগুলোর বছরে ১০০ কোটি ডলারের জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় চাপ দেয়া।

ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিকা, ভারত এবং চীন উন্নয়নশীল এই অর্থনীতিগুলো এখন উচ্চ দূষণকারী দেশে পরিণত হয়েছে। তারা জলবায়ু তহবিলে ধনীদের আরো বেশি বেশি অর্থ প্রদানে চাপ দিয়ে আসছে। নতুন দিল্লি মনে করে উন্নত দেশগুলোর বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়াও যথেষ্ট নয়। এই তহবিল ৭৫০ বিলিয়নে নেয়ার দাবি সাউথ আফ্রিকার। অ্যামাজনের বন ধ্বংসের বিপরীতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চায় ব্রাজিলও। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খেলোয়াড়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ