নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্ট, ওয়ানডের সঙ্গে যোগ হয়েছে টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেটের এই তিন সংস্করণের মেজাজ-ধাঁচ একেবারে আলাদা। তাই তিন সংস্করণের জন্য বাংলাদেশের তিনটি আলাদা দল গঠনের প্রসঙ্গটি অনেকদিন ধরেই আলোচিত হচ্ছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেও এখনই তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড প্রধান দাবি করেছেন, তিনি অনেক আগেই তিন সংস্করণের আলাদা দল গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন, ‘আমি তিন বছর আগে থেকেই বলছি যে (তিনটি) আলাদা দল হওয়া উচিত।’
তবে নাজমুলের ভাবনা এত দিনেও আলোর মুখ দেখেনি। এর কারণ হিসেবে মানসম্পন্ন যথেষ্ট খেলোয়াড়ের ঘাটতিকে তুলে ধরেছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উঠতি ও নতুন ক্রিকেটাররা তাকে আলাদা দল বানানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বলেও উল্লেখ করেছেন বিসিবি প্রধান, ‘চেষ্টা তো চলবেই কিন্তু খেলোয়াড় তো পেতে হবে। এখন আস্তে আস্তে মনে হচ্ছে, কিছু খেলোয়াড় আমরা পাচ্ছি। দুই বছর আগেও আমাদের এই অবস্থা ছিল না। আমরা এখন দল বানানোর কথা চিন্তা করতে পারি, আমাদের আলাদা দল করা যাবে। আমাদের বেশ কিছু খেলোয়াড় আছে এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে (আলাদা দল) হবে।’
তিন সংস্করণের আলাদা দল তৈরির ক্ষেত্রে আরও কিছু প্রতিকূলতার কথা বলেছেন নাজমুল, ‘সমস্যাটা হচ্ছে, বাদ দেবেন কাকে এটাও মাথায় রাখতে হবে। হুট করে কাউকে বাদ দিয়ে দিলে তো হবে না। যারা ফর্মে আছে, সিনিয়র খেলোয়াড়- ওদের তো বাদ দেয়া যায় না। এই দিক দিয়েও চিন্তা করতে হবে।’ তবে নাজমুলের আশাবাদ, এখনই না হলেও আগামী বছরের মধ্যে তারা একেক সংস্করণের জন্য একেক দল গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারবেন, ‘সব দিক দিয়ে চিন্তা করলে সামনের বছরের মধ্যে আমরা বুঝে ফেলতে পারব যে কে কোন ফরম্যাটে খেলতে পারবে এবং খেলোয়াড়দের আলাদা করার মতো সুযোগ পাবো কি-না।’
সেই সুযোগ অবশ্য খুব শিগগিরই আরেকটি পেতে যাচ্ছেন বোর্ড প্রধান। বাংলাদেশ দলের খেলা দেখতে, দলকে উৎসাহ দিতে অনেক দেশেই যাওয়া হয় পাপনের। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যাননি দক্ষিণ আফ্রিকায়। এই সুযোগ ঘটতে পারে তার শীঘ্রই। তবে সেজন্য এবারের যুববিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে মেটাতে হবে প্রত্যাশা। বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠলে তবেই দলকে উৎসাহ দিতে ছুটবেন নাজমুল।
৩ জানুয়ারি আকবর আলির নেতৃত্বে যুব বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিং মিলিয়ে ভারসাম্য থাকায় এবারের দলকে মনে করা হচ্ছে সময়ের সেরা। আকবরদের কাছে তাই প্রত্যাশাও বিপুল। বিশ্বকাপগামী দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন শেষ করে নিজের প্রত্যাশার কথা জানান বিসিবি সভাপতি, ‘ওদের বলেছি এখন পর্যন্ত আমি দক্ষিণ আফ্রিকা যাইনি। এমনকি জাতীয় দলের জন্যও না। কিন্তু ওরা সেমিফাইনালে উঠলে যাব।’
কদিন আগে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বেশ ভালো করে এসেছে আগামী দিনের তারকারা। তার আগে ইংল্যান্ডে গিয়ে উঠেছে ত্রিদেশীয় কাপের ফাইনালে। তবে এসব পারফরম্যান্স মূল্যবান হবে যদি ভালো করা যায় বিশ্বকাপে। নাজমুল বিশ্বকাপগামী দলকে বুঝিয়েছেন সেটাই, ‘ওদের এটাই বলেছি, আগে কী হয়েছে সেটা মানুষ মনে রাখে না। এখন কী হচ্ছে সেটাই বড় কথা। তারা কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলছে। তারা অনেক ভালো ফলও পেয়েছে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ওরা ভালো করবে। ওদের এই ক্ষমতা আছে। কয়েকটা ছেলে তো অসাধারণ খেলা খেলছে এবং অনেক বেশি প্রতিভার অধিকারী।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।