Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাললিকে মিশরীয় খেলোয়াড়

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : টেবিল টেনিসের প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা প্রত্যাশি পাললিক গ্রæপের হয়ে খেলতে ঢাকা এসেছেন মিশরীয় খেলোয়াড় লাশিন। বাংলাদেশ টেবিল টেনিসের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোন মিশরীয় খেলোয়াড়। চারবারের এই অলিম্পিয়ান বৃহস্পতিবার পাললিকের ডেরায় উঠেছেন। প্রথমবার বাংলাদেশে আসা এই মিশরীয়র যাতায়াত অভিজ্ঞতাটা খুবই বাজে হয়েছে। তিন দিন আগে ঢাকায় আসার কথা থাকলেও কায়রো বিমান বন্দর থেকে ফেরত যেতে হয়েছিল তাকে। এ প্রসঙ্গে পাললিক গ্রæপের কর্ণধার খন্দকার হাসান মুনীর বলেন, ‘আমরা লাশিনের জন্য একটি উপস্থিত ভিসার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তা বাংলাদেশ থেকে বাংলা ভার্সনে গিয়েছিল। যে কারণে তাকে ফেরত যেতে হয়েছিল। পরদিনই তা ইংরেজিতে পাঠানো হয়েছে। ফলে লাশিন আসতে পেরেছেন বাংলাদেশে।’
তিন দিনে ৭২ ঘণ্টা ভ্রমনের মধ্যেই ছিলেন লাশিন। তাই কিছুটা পরিশ্রান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই ক্লান্ত। বাংলাদেশে আসার জন্য তিন দিন সময় লেগেছে। প্রথম দিন বিমান বন্দর থেকেই ফিরে গিয়েছিলাম। পরদিন ফের রওয়ানা হয়েছি।’ চারটি অলিম্পিক গেমসে মিশরীয় জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন লাশিন। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে সুইডিশ খেলোয়াড়কে হারিয়ে বিশ্বের সেরা ৩২ জনের মধ্যে একজন ছিলেন ৩৮ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। আফ্রিকান কাপ, সিঙ্গাপুর ওপেন এবং ওয়ার্ল্ড টিম কাপ খেলেছেন তিনি। দলগত ইভেন্টে খেলাই পছন্দ করেন লাশিন। তার কথা, ‘আসলে আমি একক খেলাটা খুব একটা পছন্দ করি না। অধিকাংশ সময় খেলেছি দলগতে। এখানেও সেটা খেলতে এসেছি।’
এদিকে বাংলাদেশে খেলতে আসায় হোলি উৎসবে যোগ দিতে না পারায় বেশ মন খারাপ বিভিন্ন দলের ভারতীয় খেলোয়াড়দের। বয়েজ ক্লাবের অভিমন্যু মিত্র বলেন, ‘আমি প্রথমবার ভারতের বাইরে খেলতে এসেছি। আর এবারই প্রথমবার হোলি উৎসব করতে পারলাম না। পরিবারের সবাই উৎসব করছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমাকে ছবি পাঠাচ্ছে। খুব খারাপ লাগছে। তারপরেও যেহেতু পেশা হিসেবে নিয়েছি এই খেলাটাকে। তাই আমাকে খেলতেই হবে। এবার হয়নি, আগামী বছর হোলি উৎসব পরিবারের সঙ্গে কাটাবো।’ একই কষ্ট মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের সুরজিত দাসের। তিনি বলেন, ‘আগেও আমি দেশের বাইরে গিয়েছি খেলতে। তবে বাংলাদেশে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এখানকার পরিবেশটা আমাদের মতোই। তবে পরিবারের সঙ্গে হোলি উৎসব করতে না পারলে কষ্টতো লাগবেই। কি আর করা। খেলতে এসেছি যখন, কিছু তো বিসর্জন দিতেই হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খেলোয়াড়


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ