প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে মাদক মামলা নিয়ে গোটা বলিউডে তোলপাড়ের মধ্যেই মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ পি গোসাভিকে আটক করেছে পুলিশ। মুম্বাইয়ের প্রমোদতরী-কাণ্ডে ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) অন্যতম এ সাক্ষীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুণে পুলিশ।
পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত বলেছেন, মুম্বাইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় এনসিবির অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করা হয়েছে। ২০১৮ সালের একটি প্রতারণা মামলায় গত ১৪ অক্টোবর গোসাভির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করে পুণে পুলিশ। কিরণ গোসাভি পেশায় প্রাইভেট ডিটেক্টিভ। এনসিবির সাক্ষী হিসেবে প্রমোদতরীতে অভিযানের সময় তাকে ফের দেখা যায়।
যদিও আরিয়ান খানের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই গায়েব হন কিরণ গোসাভি। অবশেষে পুণে থেকে তাকে আটক করা হলো।
এদিকে মুম্বাইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধার ও আরিয়ান খানের গ্রেফতারি নিয়ে বিতর্ক চলার মধ্যেই গত রোববার (২৪ অক্টোবর) নিজেকে গোসাভির দেহরক্ষী দাবি করা প্রভাকর নামে এক ব্যক্তি ঘুষ সংক্রান্ত লেনদেনের অভিযোগ তোলেন গোসাভির বিরুদ্ধে।
ওই ব্যক্তির দাবি, শাহরুখপুত্রের জামিন বিষয়ে তিনি গোসাভিকে ২৫ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা নিয়ে ফোনে কথা বলতে শুনেছেন। শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন তিনি। পূজার কাছে আরিয়ানের জামিন বিষয়ে ২৫ কোটি টাকা দাবি করা ছিল তার উদ্দেশ্য। শেষে ১৮ কোটিতে রফা করার পরিকল্পনা ছিল। এরমধ্যে ৮ কোটি টাকাই দেওয়া হতো এনসিবি কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে, যিনি আলোচিত এ মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন গোসাভি। ঘুষের ব্যাপারে তিনি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথম বার এ বিষয়টি আমি শুনছি।’ ২ অক্টোবরের আগে ওয়াংখেড়েকে তিনি চিনতেনই না।
যদিও গোসাভির কথিত দেহরক্ষীর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যের পর আরিয়ারের মাদক মামলার তদন্ত ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। প্রশ্ন উঠে এনসিবির তদন্ত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের ভূমিকা নিয়েও।
আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সম্প্রতি গা ঢাকা দেওয়ার পর গোসাভির খোঁজে চলে তল্লাশি অভিযান। এরইমধ্যে দিন তিনেক আগে গোসাভি নিজেই জানান, তিনি উত্তরপ্রদেশের লখনউতে কোনো একটি থানায় আত্মসমর্পণ করবেন।
পরে গোসাভি দাবি করেন, তিনি একটি থানায় আত্মসমর্পণ করতে গিয়েছিলেন। তবে পুলিশ তাকে বাধা দিয়েছে। সে কারণে তিনি আত্মসমর্পণ করতে পারেননি। যদিও লখনউ পুলিশ গোসাভির এ দাবি নাকচ করেছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।