প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
মাদক মামলায় এতদিন পর্যন্ত সকলের নজর ছিল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের দিকে। এখন অভিযুক্ত আরিয়ান খানের নামের পাশাপাশি মামলার তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের নামও শিরোনামে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অন্যদিকে নবাব মালিকের টানা আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতেও ছাড়ছেন না সমীর ওয়াংখেড়ে।
বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরিয়ান খান মাদক মামলার তদন্তকারী এই অফিসার জানান, “আমি জন্ম থেকে হিন্দুই। এক দলিত পরিবারে আমার জন্ম। আমি আজও একজন হিন্দুই আছি। আমি কোনওদিন কোনও ধর্ম বদল করিনি। ভারত এক ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ এবং আমি এর জন্য গর্বিত।”
সমীর ওয়াংখেড়ে আরও জানিয়েছেন, “আমার বাবা হিন্দু, আর মা মুসলিম। আমি তাদের উভয়কেই ভালবাসি। আমার মা চেয়েছিলেন যেন মুসলিম রীতি মেনে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় আমার বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়… কারণ যখন দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ বিয়ে করে, তখন এই আইনের আওতাতেই বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে।”
উল্লেখ্য, এনসিবি অফিসারের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের অভিযোগ ছিল, এনসিবিতে চাকরি পাওয়ার জন্যই নাকি নিজের ধর্ম গোপন করেছেন সমীর ওয়াংখেড়ে।
বুধবার সকালেই নবাব মালিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিবাহের একটি ছবি টুইট করে লেখেন, একটি মিষ্টি দম্পতি। সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে এবং তার স্ত্রী শাবানা কুরেশি। মুসলিম মতে সেই বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের নিকাহনামা তুলে ধরে নবাব মালিক দাবি করেন, সমীরের ধর্ম নিয়ে তার কোনও আপত্তি নেই। তবে যে চাকরির জন্য নিজের ধর্ম বদলে ফেলতে পারে, তিনি আসলে একজন অসৎ ব্যক্তি। এর পাশাপাশি ঘুষ নেওয়া, বেআইনিভাবে ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগও উঠেছে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।