পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘাতক মমিন দেওয়ান (৪২) কোন কারণ ছাড়াই মা মনোয়ারা বেগম (৬৫) কে হত্যা করে। হত্যা করার পরপরই সে পালিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। হত্যাকারীর ছবি দেখে স্থানীয় জনতা ঘাতককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গতকাল বুধবার সকালে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালীর দেওয়ান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত মনোয়ারা বেগম-এর লাশ থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মরহুম আবুল হাশেমের ছেলে মমিন দেওয়ান ঘুমের মধ্যে মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেই পালিয়ে যায়। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ঘাতকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে জনতা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভাটিরগাঁও এলাকা থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয়রা জানায়, এক সন্তানের জনক মমিন ১৭ বছর পূর্বে রুব্বান নামের এক নারীকে হত্যা করেছে। সে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। সে প্রায়ই পরিবারের লোকদেরকে হত্যা করার কথা বলতো।
এ বিষয়ে বাড়ির একাধিক লোকজন বলেন, সে বাইরের সকল মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করত। শুধু ঘরে গিয়ে তার মা এবং পরিবারের লোকদেরকে খুন করেবে বলে হুমকি দিতো। গতরাতেও সে এবং তার মা ছাগলের বাছুরকে দুধ খাইয়েছে। সে মানুষিক রোগী ছিলো, যার কারণে সে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে।
৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি জেনেছি সে মানসিক রোগী। পারিবারিকভাবে সে ভালো ছিলো না। আর্থিক সঙ্কটের কারণে বউ চলে যায়, একই কারণে সে হতাশায় ভুগতো। সে খুনের দায়ে অনেকদিন জেলেও খেটেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, আমরা শুনামাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে এসেছি এবং ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘাতককে ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।