প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দক্ষিণী পরিচালক অ্যাটলির সিনেমায় অভিনয় করছিলেন শাহরুখ। তার বিপরীতে ছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার নয়নতারা। সিনেমার অর্ধেক শুটিং শেষ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণী অভিনেত্রীর। শুটের জন্য স্পেন পাড়ি দেওয়ারও কথা ছিল গোটা টিমের। ঠিক তখনি খবর আসে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের আটক হওয়ার। তড়িঘড়ি শুট বাতিল করেন শাহরুখ। দীর্ঘদিন ধরে শুটিং ফ্লোরেও ফিরতে পারছেন না তিনি। কোনোক্রমে কাজ চালানো হচ্ছে বডি ডাবল দিয়ে। এমতাবস্থায় নাকি সিনেমাটি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী নয়নতারাও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পেশাগত কারণ দেখিয়ে সিনেমাটি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন নয়নতারা। জানা যায়, অক্টোবর মাসটা এবং নভেম্বরের প্রথম অর্ধেক অংশ এই বলিউড সিনেমার জন্য রেখেছিলেন নয়নতারা। কিন্তু অক্টোবর শেষ হতে চললেও এখনো শুটিং অর্ধেকও শেষ হয়নি। এদিকে তার একের পর এক অন্য ছবির শুটিং ঠিক করা রয়েছে। এমন অবস্থায় শাহরুখের ছবির জন্য আর সময় বের করতে পারবেন না নয়নতারা।
তবে আরিয়ান খান মাদককান্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কার্যত গাছাড়া ভাব দেখাচ্ছিলেন দক্ষিণী অভিনেত্রী। এমনকি অক্টোবর-নভেম্বরে ছবির কাজে সেইভাবে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি তাকে। যদিও নিজের ব্যক্তিগত কিছু কারণ দেখিয়ে সেটে উপস্থিত থাকেননি নয়নতারা।
ইতিমধ্যেই নাকি অন্য অভিনেত্রীর খোঁজ শুরু করে দিয়েছেন সিনেমাটির নির্মাতারা। নয়নতারার মতোই জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখের খোঁজ চলছে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে। শোনা যাচ্ছে, সামান্থা রুথ প্রভুর নামও উঠে আসছে সম্ভাব্য অভিনেত্রীদের মধ্যে। তবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
এর আগে শোনা গিয়েছিল, অ্যাটলির এই ছবিতে নায়িকার চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সামান্থাকে। কিন্তু সে সময় নাগা চৈতন্যর সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা করছিলেন অভিনেত্রী। সন্তান আনার কথা ভেবেছিলেন তারা। সে কারণে শাহরুখের ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সামান্থা।
উল্লেখ্য, মাদক কান্ডে ছেলে আরিয়ান জেলে যাওয়ার পর থেকে একের পর এক ক্ষতি হয়ে চলেছে শাহরুখ খানের। কিছুদিন আগেই একটি বড় শিক্ষা সংস্থার বিজ্ঞাপন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল কিং খানকে। আরিয়ান জেলে যেতেই বিতর্ক শুরু হওয়ায় শাহরুখ অভিনীত ওই সংস্থার একটি বিজ্ঞাপনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।