প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বৃহস্পতিবার টানা প্রায় তিন’ঘন্টা জেরার পর এনসিবি’র অফিস ছাড়েন অনন্যা পান্ডে। ঠিক দুপুর ৩.৩০ নাগাদ আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেই বাবা চাঙ্কি পান্ডেকে নিয়ে এনসিবি’র দফতরে যান অনন্যা। তাকে জেরা করেন সুপার কপ সমীর ওয়াংখেড়ে। টানা তিন ঘণ্টা জেরার পর অবশেষে কালকের মত মুক্তি দেয়া হয় এই স্টারকিডকে। কিন্তু আজ (২২ অক্টোবর) ঠিক সকাল ১১ টায় ফের অনন্যাকে এনসিবি’র দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও অনন্যাকে জেরা প্রসঙ্গে এনসিবি’র এক অফিসার জানিয়েছেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে মানে এই নয় যে সে দোষী।’
শোনা যাচ্ছে, আজ আরিয়ানের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে নাকি জিজ্ঞাসাবাদ করা হরে পারে অনন্যাকে। যদিও এনসিবি’র পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই অনন্যার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদক মামলায় আরিয়ানের সঙ্গে যোগ থাকার সূত্র পেতেই চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা তথা অভিনেত্রী অনন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। আরিয়ানের মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে একাধিক তারকা সন্তানের নাম সামনে উঠে এসেছে। আগামী দিনে তাদেরও সমন জানাবে এনসিবি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালেই অনন্যা পান্ডের বাড়িতে ৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় এনসিবি’র অফিসাররা। সে সময় অনন্যার বাড়ি থেকে কিছু জিনিষ বাজেয়াপ্ত করে এনসিবি। যদিও সেই বিষয়ে কিছুই জানায়নি তারা। তারপর তারা সোজা চলে যান শাহরুখের বাড়ি মান্নাতে।
ইতিমধ্যেই নিজের আগামী বেশ কয়েক দিনের শুটিং শিডিউল বাতিল করেছেন অনন্যা। জানা গেছে, এনসিবি আগামী দিনেও তাকে ডাক পাঠাতে পারে এই ভেবেই আগাম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই স্টারকিড।
প্রসঙ্গত, অনন্যা ও আরিয়ান খানের চেনাশোনা ছোটবেলা থেকেই। অনন্যার বাবা চাঙ্কি পাণ্ডে শাহরুখের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অন্যদিকের শাহরুখ কন্যা সুহানা ও অনন্যা ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’। আরিয়ান জামিন না পাওয়ার অস্বস্তি বাড়ছিল বলি টাউনে। এবার মাদককাণ্ডে অনন্যাকে এনসিবির তলবে তা আরো বাড়লো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।