প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
মাদক মামলায় জেলে বন্দি রয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। মুম্বাইয়ের নামী আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে তার মামলা লড়ছেন। তবু একের পর এক জামিন আবেদন বাতিল হচ্ছে ছেলে আরিয়ান খানের। তাই শাহরুখ খান তার ছেলেকে জেল থেকে বের করে আনার জন্য অমিত দেশাই নামে অন্য আরেক আইনজীবীর সাহায্য নিচ্ছেন। তিনি সেই আইনজীবী যিনি ২০০২ সালে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে হিট অ্যান্ড রান কেস থেকে ছাড়িয়েছিলেন।
জানা গেছে, এরই মধ্যে অমিত গতকাল ১১ অক্টোবর আরিয়ানের জন্য আদালতেও গিয়েছিলেন। তিনি জামিনের আবেদন দাখিল করেছেন। এরপর এনসিবি কাউন্সিল আদালত জানিয়েছে, এজেন্সি আরও এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে। নিজেদের কথা জানানোর জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে তারা।
আদালতে অমিত দেশাই বলেছেন, তার মক্কেল আরিয়ান গেল এক সপ্তাহ ধরে জেলের মধ্যে রয়েছেন। জামিনের আবেদন তদন্তের ওপর নির্ভর করে না। আমি জামিনের জন্য বলছি না। আমি তারিখের জন্য বলছি। প্রশাসনিক কারণে কারও মুক্তি আটকে যাবে, এটা হতে পারে না। এনসিবি তদন্ত করতেই পারে।
তিনি আরও বলেন, আর যদি আরিয়ান এর কথা বলি, তা হলে বড় জোর এক বছরের শাস্তি হবে। তার বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া গিয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। আর এরপরও যদি এনসিবি বলে তাদের আরও এক সপ্তাহ সময় চাই, তা হলে বলতে হয় এটা এক বছরের শাস্তির জন্য।
এদিকে ছেলে আরিয়ান খান গ্রেপ্তারের পর থেকেই মানসিক চাপের মধ্যে আছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ছেলেকে মুক্ত করতে এদিক-সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। ছেলের দুশ্চিন্তায় ঠিকমতো খেতে পারছেন না শাহরুখ। এমনকি ঘুমাতেও পারছেন না কিং খান। ছেলে ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আপাতত সিনেমার কাজ স্থগিত রাখছেন বাদশা।
উল্লেখ্য, মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীর পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন আরিয়ান খান। যদিও আইনজীবীকে আরিয়ান বলেছেন তিনি মাদক নেননি, তার কাছে কোনো মাদকও পাওয়া যায়নি। তবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) দাবি করেছে, তাদের ৬ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।