প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
মাদক মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতে আছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। তবে শোনা যাচ্ছে সন্দেহের তালিকায় উঠে আসতে পারে আরও কিছু বলিউড সেলিব্রিটির নাম। সুশান্ত সিং রাজপুত -এর মৃত্যুর মামলায় মাদকের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলছিলই। তারমধ্যেই, ফের বলিউডে সাড়া ফেলে দিয়েছে মাদক।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে কিছুদিন আগেই জানানো হয়েছিল, সুশান্ত মৃত্যু মামলায় গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন ক্ষিতিজ প্রসাদের সঙ্গে, আরও বেশ কিছু বলিউড তারকাদের নাম জড়িত রয়েছে বলে মনে করছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। তারা জানিয়েছিল, ক্ষিতিজের সঙ্গে বেশ কয়েকজন বলিউড সেলিব্রিটির যোগাযোগ ছিল শুধু না, তারা অবৈধ মাদক পাচারের সঙ্গেও জড়িত ছিল। এনসিবি বর্তমানে সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এনসিবি ক্ষিতিজের ভার্সোভার বাড়ি থেকে কিছু নথি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং মাদক (গাঁজা) উদ্ধার করেছিল। যার জেরে গ্রেফতার হতে হয়েছিল তাকে। তিনি অল্প সময়ের জন্য ধর্মাটিক এন্টারটেইনমেন্ট -এর সঙ্গে কার্যনির্বাহী প্রযোজক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এনসিবি কর্মকর্তারা বর্তমানে ক্ষিতিজের মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলা তথ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তার থেকেই বলিউডে মাদক চক্রের সম্পর্কে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সুশান্তের মৃত্যু মামলায় মাদকের ভূমিকা নিয়ে তদন্তকারী এনসিবি-র দলটি জানিয়েছে, ক্ষিতিজে ড্রাগ সিন্ডিকেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ নথিতে করমজিৎ আনন্দ, অনুজ কেশওয়ানি এবং অঙ্কুশ অরেঞ্জার নাম পাওয়া গিয়েছে। এনসিবির ধারণা, ক্ষিতিজ এই তিনজনের কাছ থেকেই চরস ও গাঁজা কিনেছিলেন। শুধু তাই নয়, ক্ষিতিজের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ী কাইজান ইব্রাহিমেরও যোগ ছিল বলে মনে করে এনসিবি। এই কাইজানের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবুর্চি দীপেশ সাওয়ান্তের।
এই মামলায় উল্লেখযোগ্য যে বলিউড তারকার নাম উঠে এসেছে, তিনি হলেন পরিচালক করণ জোহর। ক্ষিতিজের আইনজীবী সতীশ মনশিন্দ অভিযোগ করেছিলেন, তার ক্লায়েন্টকে চাপ দিয়ে করণ জোহরের নাম বলতে বাধ্য করছে এনসিবি। তবে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি সেই অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন এবং অসত্য' বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২ অক্টোবর) রাতে প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ার রেভ পার্টি থেকে আরিয়ান সহ মোট আট জনকে আটক করা হয়। টানা ১৬ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে গ্রেফতার করে এনসিবি। আরিয়ানের সঙ্গে গ্রেফতার হন আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাও। এরপর তাদের কোর্টে তোলা হলে প্রথম দফায় আদালতের নির্দেশে ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখা হয়। কিন্তু ৭ই অক্টোবর আদালতে তাদের জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে আরিয়ান এনসিবি-র তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।