প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চমকে দেওয়াটা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন আমির খান এবং কিরণ রাও। বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করার পরেও বন্ধুত্ব অটুট রাখার কথা বলেছিলেন তারা। সেই কথাই রাখলেন এই প্রাক্তন জুটি। দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরও রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) ছেলে আজাদ রাও খানকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে বের হয়েছিলেন আমির এবং কিরণ।
মুম্বাইয়ের একটি রেস্তরাঁর বাইরে একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। আমির পরেছিলেন নীল রঙের গোল গলার একটি টি-শার্ট। আর কিরণের পরনে ছিল চেক ব্লাউজ এবং তার সঙ্গে মানানসই কালো প্যান্ট। বিচ্ছেদ হলেও তাদের আচরণে কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। একে অপরের সঙ্গে বেশ সহজভাবে হেসেই কথা বলছিলেন দুজন। বাবা-মায়ের মুডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজাদকেও দেখা গেল সাদা টি শার্ট এবং ধূসর রঙের শর্টসে।
বিচ্ছেদের ঘোষণা হওয়ার পরেও আমির ও কিরণকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। কখনও 'লাল সিং চাড্ডা'-র শ্যুটিংয়ে গানের সুরে একসঙ্গে নাচছেন আবার কখনও বা বাকি ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে হইহই করে খেলায় মাতছেন এই দু'জন। এবার ফের একবার একসঙ্গে দেখা গেল আমির-কিরণকে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে ১৫ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টেনে আমির খান ও কিরণ রাও নিজেদের বিচ্ছেদের খবর জানিয়েছিলেন। ‘হ্যাপি গো লাকি’ এই জুটির এভাবে আলাদা হয়ে যাওয়ায় বেশ অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। সে সময় যৌথ বিবৃতিতে এই প্রাক্তন জুটি জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে আলাদা হলেও কাজের জায়গায় তারা একসঙ্গে এখনও থাকবেন। ছেলের সমস্ত দায়িত্বও একসাথেই পালন করবেন। যদিও কেন একে-অপরের থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে নিয়ে কিছু জানাননি তারা।
আমির-কিরণের বিচ্ছেদের কারণ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া খবরে নাকি জানা গেছে ২০১৯-এই নাকি একে-অপরের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছিলেন তারা। একে-অপরের প্রতি কোনও বিদ্বেষ না থাকলেও, অনুভূতি নাকি হারিয়ে গিয়েছিল। একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক শুধু রয়ে গিয়েছিল। তখনই তারা সিদ্ধান্ত নেন পৃথক হওয়ার।
সেই প্রতিবেদনে আমিরের কো-স্টার ফাতিমার কথাও বলা হয়েছে। সূত্রের মতে, ফতিমার সঙ্গে আমিরের সম্পর্কের খবর সত্য! আর তাই একে-অপরের প্রতি ঘৃণা নিয়ে বা অবিশ্বাস নিয়ে না থেকে, আলাদা থাকার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন এই জুটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।