প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সালমান খান, অজয় দেবগণ ও অক্ষয় কুমার সহ মোট ৩৮ জন অভিনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা। বছর দুই আগে ২০১৯ সালে হায়দ্রাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ করে ছিলেন এই তারকারা। কিন্তু ক্ষোভ জানাতে গিয়ে গণধর্ষিতার পরিচয় ফাঁস করে দিয়েছিলেন তারা। সেই প্রেক্ষিতেই সালমান-অজয়-অক্ষয় সহ বলিউড এর মোট ৩৮ জন অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী গৌরব গুলাটি।
দিল্লি নিবাসী ওই আইনজীবীর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রত্যেকে ধর্ষিতার পরিচয় ফাঁস করে দিয়েছিলেন। ২০১৯ এর নভেম্বর মাসে হায়দ্রাবাদে এক বছর ২৬ এর পশু চিকিৎসককে নৃশংস ভাবে গণধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।
এই বর্বরতার ঘটনায় শিউড়ে উঠেছিল গোটা ভারত। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র জ্বলেছিল প্রতিবাদের আগুন। আমজনতা তো বটেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন তারকারাও। বলিউড থেকে দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সর্বত্র শোনা গিয়েছিল একই দাবি, গর্ণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি।
বহু তারকা সে সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষিতার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তালিকায় নাম ছিল সালমান খান থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ বা ফারহান আখতার, রকুল প্রীত সিং বা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির রবি তেজা, আল্লু শিরিষ প্রমুখ। এদের মধ্যে অনেকেই নিজের টুইটে হ্যাশট্যাগ হিসেবে ধর্ষিতার নাম ফাঁস করে দিয়েছিলেন।
সালমান খান ওই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লিখেছিলেন, ‘মানুষের ছদ্মবেশে এরা সবথেকে নোংরা শয়তান।’ হায়দ্রাবাদের ঘটনাকে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে তিনি লিখেছিলেন, ‘যে শয়তানরা এই নির্দোষ মহিলাদের যন্ত্রণা, মৃত্যুর কারণ হয়েছে সকলে মিলে তাদের খুঁজে মারা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো মেয়েকে এই দিন না দেখতে হয়।’
অপরদিকে হায়দ্রাবাদের গণধর্ষিতার নাম প্রকাশের পাশাপাশি আরো কিছু জায়গায় ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার নাম ফাঁস করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অক্ষয়। তিনি লিখেছিলেন, ‘সমাজ হিসেবে আমরা হেরে যাচ্ছি। নির্ভয়া কাণ্ডের ৭ বছর পরেও এমন ঘটনা দেখতে হচ্ছে আমাদের। আরো কঠিন আইন দরকার আমাদের।’
এতেই আপত্তি জানিয়েছেন আইনজীবী গৌরব গুলাটি। দিল্লির সবজি মাণ্ডি থানায় সালমান-অজয়-অক্ষয় সহ মোট ৩৮ জন তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিস হাজারি আদালতে পিটিশনও দাখিল করেছেন তিনি। তার দাবি, তারকা হিসেবে সামাজিক দায়িত্ববোধ থাকা উচিত তাদের। প্রতিবাদ জানানোর হাজারটা উপায় আছে। কিন্তু গণধর্ষিতার নাম প্রকাশ্যে আনা উচিত হয়নি তাদের। ওই তারকাদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।