গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর মিরপুরে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুজন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই দুজন মারা যান।
সর্বশেষ মারা যাওয়া দুজন হলেন শফিকুল ইসলাম (৩৫) ও সুমন (৪০)। এই দুজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, শফিকুলের শরীরের ৮৫ শতাংশ ও সুমনের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
একই ঘটনায় দগ্ধ রিনা বেগম (৫০) গতকাল রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট তিনজন মারা গেলেন। মারা যাওয়া রিনা বেগম ভবনমালিক ফুল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। মারা যাওয়া শফিকুল হলেন রিনা বেগমের ছেলে। মারা যাওয়া অপর ব্যক্তি সুমন হলেন গ্যাসমিস্ত্রি।
এ ঘটনায় দগ্ধ অন্যরা হলেন ফুল মিয়ার প্রথম স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৭০), ভবনের নিচতলার ভাড়াটে রেনু বেগম (৩৫), পাশের বাসার বাসিন্দা নাজনীন (২৫) ও তাঁর মেয়ে নওশীন (৫)। সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রওশন আরা বেগমের শরীরের ৮৫ শতাংশ, রেনু বেগমের ৩৮ শতাংশ, নাজনীনের ২৭ শতাংশ ও শিশু নওশীনের শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল বলেছেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের সবার শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কেউ শঙ্কামুক্ত নন। তাঁদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গত বুধবার রাত ১১টার দিকে মিরপুর-১১ নম্বরের সি-ব্লকের ১১ নম্বর রোডের ছয়তলা বাড়ির গ্যাসলাইন মেরামত করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে নারী, শিশুসহ মোট সাতজন দগ্ধ হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।