গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর মিরপুরের-১১ নম্বরের একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ দুর্ঘটনায় দগ্ধ রিনা আক্তার (৫০) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসাইন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এর আগে দুপুরে তিনি বলেছিলেন, মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ সাতজনের মধ্যে চারজনকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা ‘ভেরি ভেরি ক্রিটিক্যাল’। এছাড়াও বাকি তিনজনকে এইচডিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থাও ভালো না।’
ডা. আইয়ুব জানিয়েছিলেন, আইসিইউতে ৮৫ শতাংশ পোড়া নিয়ে শফিকুল ইসলাম, ৪৫ শতাংশ পোড়া নিয়ে সুমন, ৮০ শতাংশ পোড়া নিয়ে রওশন আরা ও ৭০ শতাংশ পোড়া নিয়ে রিনা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া এইচডিইউতে ২৭ শতাংশ পোড়া নিয়ে নাসরিন নাজনীন, ১৫ শতাংশ পোড়া নিয়ে শিশু নওশীন ও ৩৮ শতাংশ পোড়া নিয়ে আছেন রেনু আক্তার।
তাদের মধ্যে রিনা আক্তার আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি বাসায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হন।
দগ্ধরা হলেন- বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলামের মা রওশন আরা (৭০), ভাই শফিকুল (৩৫), ছোট বোন রিনা বেগম (৫০), বাসার নিচ তলার ভাড়াটিয়া নাজনীন আক্তার (২৫), তার মেয়ে নওশীন (৫), পাশের বাসার ভাড়াটিয়া রেনু বেগম (৩৫) ও পথচারী সুমন (৩০)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।