মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কম পরিশ্রমে বেশি লাভজনক হওয়ায় উত্তরের জেলা নওগাঁয় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ড্রাগন ফল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৭ বছরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মধ্যে ড্রাগন চারা সরবরাহ ও পরামর্শ দেওয়ায় প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন বাগান গড়ে উঠেছে।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতে ড্রাগন ফল চাষ ও কৃষি পরামর্শ অব্যাহত থাকলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানির আশা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদেশী ফল ড্রাগনের চাষ দেশে প্রথম শুরু হয় ২০০৭ সালে। পরের বছর সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতায় নওগাঁয় কৃষকদের উৎসাহ দিলে তারা ড্রাগন চাষ শুরু করেন।
প্রথমদিকে দুই একজন কৃষক ড্রাগন চাষ শুরু করলেও ২০১৩ সাল থেকে জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়। অত্যধিক পুষ্টিগুণ ও অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে চারা সরবরাহ করায় ২০১৭ সাল থেকে ব্যাপক পরিসরে ড্রাগন চাষ শুরু হয়েছে।
বর্তমানে নওগাঁয় বছরে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন ড্রাগন উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি কেজি বড় আকারের ফল ৪০০ টাকা, মাঝারি ৩০০ টাকা ও ছোট ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। জেলায় নতুন নতুন ড্রাগন ফল বাগান গড়ে উঠায় অনেক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বদলগাছী হর্টিকালচার সেন্টারের সিনিয়র উদ্যান তত্ত¡বিধ আ. ন. ম আনোয়ারুল হাসান জানান, সরকারের নির্দেশ রয়েছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ড্রাগন ফল বেশি করে চাষ করতে। কম শ্রমে অর্থকরী ফল ড্রাগন চাষের লক্ষ্যে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। প্রতি অর্থ বছরে প্রায় দুই হাজার ড্রাগন চারা উৎপাদন করে এই সেন্টার থেকে বিক্রি করা হয়। অনেক কৃষক ড্রাগন চাষে এগিয়ে আসায় সরকার চলতি অর্থ বছরে প্রতিটি ড্রাগন চারার দাম ১০ টাকা কমিয়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
নওগাঁর পোরশা উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের উদ্যোক্তা আব্দুর রহমান শাহ্ চৌধুরী জানান, উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কাটপুকুর এলাকায় ৫০ হাজার ড্রাগন চারা সমন্বয়ে ২৪ বিঘা জমিতে ২ বছর আগে ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে তোলা হয়। ওই বাগান গড়ে তুলতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হলেও বছরের ঘুরতেই ফল উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে সপ্তাহে ১ লাখ টাকা আয় হয়। নওগাঁ ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় ড্রাগন ফল সরবরাহ করা হয়।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামছুল ওয়াদুদ ইনকিলাবকে জানান, চলতি বছরে নওগাঁয় প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করা হয়েছে। বাগান থেকেই বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি করে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।