Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১২ দিনেই রাজাপুরে চাঞ্চল্যকর বকুল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

রাজাপুর (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৮:৫৪ পিএম

ঝালকাঠির রাজাপুরে পাঁচ সন্তানের জননী হোসনেয়ারা বেগম ওরফে বকুল (৫৫)হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ। ঘাতক মো. শাকিল (৩৪)কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, ঘরের চাবি ও হাতিয়ে নেয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, শাকিল ঢাকা নারায়নগঞ্জ সদরের গোগনগর মুর্শিদাবাদ বড় মসজিদ এলাকার মো. শাহিনের ছেলে ও রাজাপুর উপজেলা সদরের টিএন্ডটি সড়কের মতিউর রহমান মামুনের ভাড়াটিয়া। নিহত হোসনেয়ারা ওরফে বকুল উপজেলা সদরের টিএন্ডটি সড়কের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ২য় স্ত্রী।

পুলিশ আরও জানায়, শাকিলের সাথে নিহত বকুলের পূর্ব থেকেই পরিচয় ছিল। শাকিলের ২ টা বিবাহ, একটা তালাক দিয়ে ২য় বিবাহ করে। শাকিল বিভিন্ন ভাবে মানুষকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলে অপরাধ সংঘটিত করে, তেমনি বকুলের শরীরে অনেক স্বর্ণালঙ্কার দেখে ঘাতক শাকিলের লোভ হয় এবং ঐ গুলো হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন এ বছর ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ছুরি নিয়ে ভাড়ার ঘর দেখার কথা বলে বকুলকে তার শয়ন কক্ষ থেকে ডেকে আনে শাকিল। এরপরে তালা খুলে ভাড়ার ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে শাকিল বকুলের গলা চেপে ধরে মেঝেতে ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে, সাথে থাকা ছুড়ি দিয়ে গলায় আঘাত করে বকুলের মৃত্যু নিশ্চিত করে নিহত বকুলের শরীরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিয়ে শাকিল ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বকুলের বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম লিটন বাদী হয়ে গত ১৪ আগস্ট অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং -০৮ ধারা ৩০২।

সরেজমিনে জানা গেছে, স্থানীয়রা শাকিলকে ঘটনারদিন ও আগে পরে বকুলের সাথে কথা বলতে দেখে। এর পরে পুলিশ শাকিলকে সন্দেহ করে ক্লু উদঘাটনে গত ১৮ আগস্ট পুলিশ ঘাতক শাকিলকে ঢাকা নারায়নগঞ্জ সদরের ভূইয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শাহআলম ২০ আগস্ট ১০দিন রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে ঘাতক শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শাকিল পুলিশের কাছে বকুল হত্যার সব কথা স্বীকার করে।

প্রথমে ঘাতক শাকিল বকুলকে বাসা থেকে কৌশলে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে ডেকে আনে। বকুলকে একাই শ্বাস রোধ করে হত্যা করে শাকিল। শাকিলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, ঘরের চাবি ও হাতিয়ে নেয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, আমাদের কাছে স্বীকার করেছে এবং বিজ্ঞ আদালতে ও হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। বিজ্ঞ আদালত শাকিলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বকুল হত্যার দায় স্বীকার করেছে শাকিল। শাকিল বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জ সদর থানায় বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানা পৃথক দুটি মাদক মামলা রয়েছে। আজ শাকিলের জবানবন্দী রেকর্ড করে বিজ্ঞ আদালত, শাকিল হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে, পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঝালকাঠি

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ