পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদরাসা (নেছারাবাদ মাদরাসা) বিগত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারও আলিম পরীক্ষার ফলাফলে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। আলিম পরীক্ষায় বিজ্ঞান ও সাধারন বিভাগে ৩৪৩ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে যাদের মধ্যে ১১৫ জন (অ+), ১৯৯ জন অ গ্রেড এবং বাকীরা সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে।
মতানৈক্য সহ ঐক্য নীতির প্রবর্তক যুগশ্রেষ্ট দার্শনিক হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. ১৯৫৬ইং সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। সময়ের ব্যবধানে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ছাত্রের পদচারনায় মুখরিত এ মাদরাসাটি অনার্স-মাস্টার্সসহ দাখিল, আলিম ও ফাজিল , কামিল (হাদীস, তাফসির, ফিকহ ও আদব) ফলাফলে শীর্ষ স্থান অর্জনকারী দেশের শেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিগণিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের এ সাফল্যের জন্য অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন পাশাপাশি তিনি সাফল্যের কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন মুসলিম ঐক্যের প্রতীক আমীরুল মুছলিহীন হয়রত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুরের বলিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষকতা, দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, সেমিষ্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় ক্লাসটেস্ট, দূর্বল ছাত্রদের জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে ফীডব্যাক ক্লাস, অভিভাবক সম্মেলনসহ শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন, আবাসিক ছাত্রদের জন্য সার্বক্ষনিক মনিটরিং ও টিউটর দ্বারা আবাসিক ক্লাশ ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাসমূহে এ প্রতিষ্ঠান বরাবরই গৌরবোজ্জল ফলাফল লাভ করেছে। অধ্যক্ষ সাহেব ভাল ফলাফল ও এ প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য শিক্ষক, অভিভাবকসহ সর্ব মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।