প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ক্যান্সার আক্রান্ত বলিউড অভিনেতা-পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকর। ইউরিনারি ব্লাডার ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। মাসখানেক আগেই এই মারণ ব্যাধি তার শরীরে থাবা বসায়। রোগের কথা জানতে পেরেই সময় নষ্ট না করে অস্ত্রোপচার করা হয় অভিনেতার। মুম্বাইয়ের চারনি রোডে অবস্থিত এক বেসরকারী হাসপাতালে দিন দশেক আগে অপারেশন হয়েছে তার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অভিনেতা-পরিচালকের অপারেশন সফল হয়েছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এ বিষয়ে এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মহেশ মাঞ্জরেকর জানিয়েছেন, এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন তিনি। আশা করছেন খুব শিগগিরিই স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন।
এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকরের আগামী ছবি ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’। ইতিমধ্যে ছবির শ্যুটিং শেষ। অক্টোবরে কথা ছিল ছবি মুক্তির। কিন্তু জানা গিয়েছে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তা পিছিয়ে গিয়েছে। করোনার কারণে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকা, সিনেমা হলে গিয়ে দর্শকদের ছবি দেখতে না-চাওয়াই এর প্রধান কারণ।
প্রসঙ্গত, বছর তিনেক আগেই ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। ব্যক্তিগত জীবনেও মহেশ মাঞ্জরেকরের সঙ্গে সঞ্জয়ের বন্ধুত্ব বেশ গাঢ়। সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ‘বাস্তব’ সিনেমার মাধ্যমেই বলিউডে পরিচালক হিসেবে জনপ্রিয়তা পান তিনি। তার পরিচালিত একাধিক ছবিতেই দেখা গিয়েছে সঞ্জয়কে। এবার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মতোই মহেশের শরীরেরও থাবা বসাল ক্যান্সার।
ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ মাঞ্জরেকর 'বাস্তব’, ‘নিদান’, 'বিরুদ্ধ’, ‘অস্তিত্ব’ সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবি নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও বেশ কিছু মারাঠি ছবি পরিচালনা করেছেন মাঞ্জরেকর। ১৯৯২ সালে মরাঠি ছবি ‘জীবন সখা’ দিয়ে অভিনয় জগতে আগমন মহেশ মাঞ্জরেকরের। প্ল্যান, জিন্দা, মুসাফির, দশ কাহানিয়া সহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার সুনিপুণ অভিনয় মন জয় করেছে দর্শকদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।