পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
গত রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে যাওয়ার পর হঠাৎ করে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বেড়ে গেছে। পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের তুর্খাম, চেমন, খারলাচি ও গুলাম খান সীমান্ত হয়ে আফগানিস্তানে যাতায়াত করা পণ্যবাহী কার্গোর সংখ্যা বেড়েছে।
অন্যদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে গত রোববার তালেবানের ক্ষমতা দখলের দিন থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। পাকিস্তানের ট্রানজিট নিয়ে ভারতীয় পণ্যবাহী কার্গো যাওয়া আসা বন্ধ রয়েছে বলে ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের (এফআইইও) বরাত দিয়ে জানায় বিবিসি। তালেবানের কাবুল দখলের দিন পাক-আফগান সীমান্ত হয়ে ইতিহাসের সর্বনিম্ন মাত্র ৪৭৫টি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার হয়। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ মঙ্গলবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে তালেবান প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাণিজ্য প্রসারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। বুধবার সীমান্ত জুড়ে ট্রাকের চলাচল ১ হাজার ১২৩ এ পৌঁছেছে। এক সিনিয়র কাস্টমস অফিসার ডনকে বলেন, আমরা আশা করছি মহরমের পর এই সংখ্যা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের প্রবণতা দেখিয়েছে যে আগামী সপ্তাহে সীমান্ত অতিক্রমকারী কার্গো/ট্রাকের সংখ্যা আরও বাড়বে। খবর পাওয়া গেছে যে, আফগানিস্তানে তালিবান নেতৃত্বাধীন সরকার বাণিজ্যের সুবিধার বিষয়ে বেশ কিছু মুলতুবি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, ‘এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য আমরা গত বছরের নভেম্বর থেকে আফগান কর্তৃপক্ষের সাথে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছি।’
এ ছাড়া জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে যখন পাকিস্তানে বেলুচিস্তানের চমন সীমান্তের নিকটবর্তী আফগান জেলা স্পিন বলদাক তালেবানের দখলে চলে যায়, সেখান দিয়ে ভারতের সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় বন্ধই হয়ে যায়। এরপর গত রোববার কাবুলে প্রবেশ করে আফগানিস্তান দখলের পর ভারতের সঙ্গে সমস্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন (এফআইইও) –এর ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহাই জানিয়েছেন, বর্তমানে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে সমস্ত ট্রানজিট রুটে পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। ফলে আমদানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সহাই বলেছেন, আমরা আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছি। সেখান থেকে পণ্য আমদানি হয় পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট রুটে। তালিবান পাকিস্তানের দিকে পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে আমদানি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্যে। আফগানিস্তানে ভারতের লগ্নির পরিমাণও অনেক। সহাই বলেছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যের অন্যতম বড় শরিক ভারত। আফগানিস্তানে ভারতের রফতানির পরিমাণ ২০২১-এ প্রায় ৮৩৫ মিলিয়ন ডলার। এই পর্বে আমদানির পরিমাণ প্রায় ৫১০ মিলিয়ন ডলার। বাণিজ্যের বাইরে ভারতের আফগানিস্তানে প্রচুর লগ্নি রয়েছে। এই লগ্নির পরিমাণ প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের প্রায় ৪০০ প্রকল্পের কাজ চলছে আফগানিস্তানে। সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।