প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
পর্ণ ছবি তৈরি করে ‘হটশটস’ নামের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ভিডিও ছড়ানোর দায়ে গ্রেপ্তার শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রা। আসল সত্য উদঘাটন তাকে দফায় দফায় জেরাও করা হচ্ছে। তবে অভিনেত্রীর স্বামীকে গ্রেপ্তারির সিদ্ধান্তের বিরোধিতার সরব তার আইনজীবী আবেদ পোণ্ডা। সে প্রসঙ্গে যুক্তিও খাড়া করেছেন তিনি।
আইনজীবী জানান, দর্শকরা যদি সরাসরি যৌন মিলন বা সঙ্গমরত অবস্থায় পর্দায় কোনও যুগলকে দেখতে পান তবেই সেটাকে পর্নগ্রাফি বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। না হলে অন্য ভিডিও ‘ভালগার’ বা অশ্লীল ভিডিও বলে গণ্য হবে। পুলিশ কি খতিয়ে দেখছে আজকাল ওয়েব সিরিজে কী ধরণের কনটেন্ট দেখানো হয়, সেগুলো কতটা অশ্লীল, কিন্তু অবশ্যই পর্ন নয়। এখানে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে দু’জন মানুষ সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে। সেটা না হলে কখনই তা পর্ন নয়। এছাড়া পুলিশ ঠিক বৈধভাবে রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করেনি বলেও অভিযোগ তাঁর আইনজীবীর।
তাঁর দাবি, ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪১ নম্বর নোটিসে সাক্ষর করানো হয়েছিল রাজ কুন্দ্রা। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪১ নম্বর নোটিসে সাক্ষর করার অর্থ তদন্ত প্রক্রিয়ায় যোগদানের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও কেন রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করা হল, তার যৌক্তিকতাই খুঁজে পাচ্ছেন না আইনজীবী।
মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ মাস আগে ব্যবসা শুরু করেন রাজ। লন্ডনে বসবাসকারী ভগ্নীপতি প্রদীপ বক্সির সঙ্গে মিলে এই ব্যবসা করেন তিনি। গত বছর লকডাউনের পর থেকে রাজ কুন্দ্রার ব্যবসা কার্যত ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। সেই সময় ঘরবন্দি বহু মানুষ ওই ভিডিও দেখেই সময় কাটিয়েছিলেন। তাই এই ব্যবসা থেকে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছিলেন শিল্পার স্বামী।
এদিকে, পর্ন ছবির রমরমা বেড়ে যেতেই গত বছরই গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল সংস্থা ‘হটশট’কে নিষিদ্ধ বলে জানায়। এরপর ‘প্ল্যান বি, বলিফেম’ নামে নতুন পর্ন অ্যাপ তৈরি করে রাজ। ভারত থেকে সব ভিডিও ‘হটশট’ অ্যাপে আপলোড করতে পারতেন না রাজ। ভগ্নীপতি প্রদীপের সংস্থা কেনরিন লিমিটেডকে ‘উইট্রান্সফার’-এর মাধ্যমে প্রদীপকে পাঠাতেন রাজ। তারপর তা আপলোড করা হত।
অন্যদিকে, পর্ন তারকা পুনম পাণ্ডে এবং মডেল সাগরিকার পর বুধবার ফের এক মহিলা রাজ ও উমেশের বিরুদ্ধে তাকে নগ্ন হয়ে অডিশন দেওয়ার প্রস্তাব দেন বলেই অভিযোগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।