মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্যাপক জনপ্রিয় মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় শেষ পর্যন্ত তৃতীয় হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী। প্রথম হয়েছেন জাস্টিন নারায়ন এবং দ্বিতীয় পিট ক্যাম্পবেল। গত এপ্রিলে শুরু ত্রয়োদশ আসরের শেষ দিন গতকাল গতকাল রান্নার ওপর ভিত্তি করে বিচারকরা তাদের রায় দেন। গ্র্যান্ড ফিনালের প্রথম দিন গত সোমবার শেষ রাউন্ডে অভিনব রান্নার রেসিপি দিয়ে বিচারকদের মন জয় করেন জাস্টিন।
এর আগে এবারের আসরে সম্পূর্ণ দেশীয় রান্না উপস্থাপন করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী মাস্টার শেফ অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড ফিনালে উঠে আসেন। কিশোয়ার ও পিট ক্যাম্পবেলের প্রশংসা করে বিজয়ী হওয়ার পর জাস্টিন বলেন, তারা দুজনই অসাধারণ মানুষ। আর পিট তো আমার বড় ভাইয়ের মতো।
অস্ট্রেলিয়ায় পাশাপাশি বিশ্ব মিডিয়ায় রাতারাতি সেলিব্রেটি শেফ বনে গেছেন কিশোয়ার। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন প্রবাসী সফল ব্যবসায়ী ও মুক্তিযোদ্ধা কামরুল চৌধুরীর মেয়ে কিশোয়ার চৌধুরী। বাংলাদেশি খাবারের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এ বছরের আসরে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
ফল ঘোষণার পর কিশোয়ার বলেন, সবচেয়ে বড় ভালোবাসার গল্পগুলোর একটিতে আমি তৃতীয়। ফাইনালে জাস্টিন নারায়ণ এবং পিট ক্যাম্পবেলের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। গত ৬ জুলাই পিট ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিশোয়ার চৌধুরী সেমিফাইনালে জাস্টিন নারায়ণ এবং এলিস পুলব্রুকের বিপক্ষে অংশ নিয়েছিলেন। সেই প্রতিযোগিতায় প্রতিভা ও দক্ষতার বলে তাদের পরাস্ত করেছিলেন। বিশ্বজুড়ে তিনি বাংলাদেশিদের ভালবাসা এবং সমর্থনও অর্জন করেছেন। এই উদীয়মান তারকা ভবিষ্যতে বাংলাদেশি খাবারের জন্য একটি রান্নার বই লেখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্বে তিনি মায়ের কাছ থেকে শেখা বাংলাদেশি খাবার দিয়ে সবাইকে অভিভূত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকায় আমার বাড়িতে অধিকাংশ সময় খাবার তৈরিতে ব্যয় করেছি। মেলবোর্নেও আমি দেশীয় খাবারে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। যখন বাংলাদেশি খাবার আমি রান্না করি, তখন গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়।
মাস্টারশেফ অনুষ্ঠানে বাংলা ও ভারতীয় খাবারের জয়জয়কার করেছেন কিশোয়ার চৌধুরী। তার রেসিপি এখন বিশ্বনন্দিত। এর আগে তিনি ওই অনুষ্ঠানে ফুচকা, খিচুড়ি, জাউ ভাত, চিংড়ি-লাউয়ের স্যুপ, সামুদ্রিক মাছের তরকারি, বেগুন ভর্তা, মাছ ভাজা, কুলফি মালাই তৈরি করেছেন।
বিশ্বের রান্নাবিষয়ক অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরের মূল পর্ব শুরু হয় ২০ এপ্রিল। নর্দার্ন টেরিটরিতে চলে এ প্রতিযোগিতা। বাছাইপর্ব পেরিয়ে ২৪ জন অংশ নিয়েছিল অনুষ্ঠানটির চূড়ান্ত পর্বে।
বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশ তাদের নিজস্ব মাস্টারশেফ আয়োজন করে থাকে। বিশ্বের রান্নাবিষয়ক টেলিভিশন রিয়েলিটি শোর মধ্যে ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’ জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।