পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
রাশিয়া ভিত্তিক অপরাধী চক্রের মুক্তিপণের দাবিতে বিভিন্ন হামলা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার এই দুই নেতার মধ্যে কথা হয়। এতে রাশিয়ার ওই অপরাধী চক্রের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করে বাইডেন। রাশিয়ার ভিতর অবস্থানকারী গ্রুপগুলোর কর্মকান্ডকে বন্ধ করতে রাশিয়ার প্রতি জোর দিয়ে আহবান জানান তিনি। কথোপকথনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো- যেগুলো অব্যাহত চ্যালেঞ্জের মুখে আছে, তা সুরক্ষিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ নেবে বলে পুনর্বার জানিয়ে দেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়া টুডে। এদিকে রাশিয়া বলেছে, আফগানিস্তানের নতুন নতুন এলাকা দখলকারী তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসা জরুরি হয়ে পড়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ মন্তব্য করে বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। রাশিয়া তলেবানকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ বলে মনে করে। পেসকভ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তানে যা কিছু ঘটছে বিশেষ করে আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তালেবানের সঙ্গে সংলাপ জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে তালেবান গোটা আফগানিস্তান দখল করে ফেললে মস্কো সম্ভাব্য তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি পেসকভ। দিমিত্রি পেসকভ এমন সময় তালেবানের সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বললেন যখন তালেবানের একটি প্রতিনিধিদল মস্কো সফর করছে। তাজিকিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর চলমান গোলযোগ নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ দূর করতে তালেবানের একটি রাজনৈতিক প্রতিনিধিদল মস্কো সফরে গেছে। তালেবান হামলার জের ধরে আফগানিস্তানের শত শত সীমান্তরক্ষী ও সাধারণ নাগরিক এরইমধ্যে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার মস্কোয় তালেবান প্রতিনিধিদল রাশিয়ার আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলোভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ওই সাক্ষাতে তালেবান রাশিয়াকে এই নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, তারা মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সীমান্তে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করবে না। জাখারোভা শুক্রবার মস্কোয় বলেন, সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র তাজিকিস্তানেরর সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্তের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বর্তমানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া সফরকারী তালেবান কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন দেলোয়ার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তারা কোনো অবস্থায় আফগান ভূমিতে আইএসের (দায়েশ) মতো উগ্র গোষ্ঠীগুলোকে তৎপরতা চালাতে দেবেন না। তিনি বলেন, কোনো প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে আফগান ভূমি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। তিনি আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা তালেবানের দখলে রয়েছে বলে দাবি করেন। দেলোয়ার বলেন, “আফগানিস্তানের মোট ৩৯৮ জেলার মধ্যে ২৫০ জেলা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।” তবে তালেবানের এই দাবি আফগান সরকার মেনে নেয়নি। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বুধবার ৮০টি জেলা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। আরটি, ইরনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।