প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বহুদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি । শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখা গেল না ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তী দিলীপ কুমারকে। ভারতে করোনার বিস্তার বাড়ার পর থেকে হোম আইসোলেশনে ছিলেন । এর মধ্যে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে । বহু বার তার মৃত্যুর গুজবও রটেছিল । কিন্তু সমস্ত গুঞ্জনকে মিথ্যে প্রমাণ করে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি । এ বার আর তা হল না। মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে গত ৩০ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন তিনি । গতকালও (৬ জুন) তার স্ত্রী সায়রা বানু জানান, দিলীপ সাহাবের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। আজ বুধবার (৭ জুলাই) সকালে ৯৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি ।
সিনেমা জগতে দিলীপ কুমারের প্রবেশ দেবিকা রানির বম্বে টকিজ প্রযোজনা সংস্থার কর্মী হিসেবে। মাসিক ১ হাজার ২৫০ টাকার বিনিময়ে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। সেখানেই অশোক কুমার ও শশধর মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য পান। চল্লিশের দশকে ভারতীয় সিনেমায় পা রেখেছিলেন দিলীপ কুমার । কী তার অভিনয়, কী ক্যারিশ্মা.... একের পর এক নারী হৃদয় জয় করলেন । সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেতেন সে সময় । পাঁচ দশকেরও বেশি দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৬৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৪৪ সালে 'জোয়ার ভাটা' সিনেমার হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন দিলীপ কুমার। তবে এই ছবি করে সাফল্য পাননি দিলীপ । তার জন্য তাকে তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল । ১৯৪৭ সালে ‘যুগনু’ ছবিতে আসে প্রথম হিট । দিলীপের বিপরীতে ছিলেন নূর জাহান । এরপর ১৯৪৮-এ ‘মেলা’, ‘শাহিদ’ ছবি দুটিও সুপার হিট ছিল । ১৯৪৯-এ ‘আন্দাজ’, এই ছবিতে ছিলেন রাজ কাপুর আর নার্গিস ।
পঞ্চাশের দশকে ছিল তারই রাজত্ব । ৫০-এ তিনি করলেন ‘জোগান’, ‘হালচাল’, ‘বাবুল’, ‘দিদার’, ‘নয়া দৌড়’, ‘দেবদাস’, ‘দাগ’, ‘মধুমতী’ । সবগুলোই হিট । এরপর ১৯৬০-এ এল তার সবচেয়ে সফল সিনেমা ‘মুঘল-ই-আজম’ । ১১ বছর ধরে এই ছবিই ছিল ভারতীয় সিনেমায় সর্বোচ্চ লাভদায়ী ছবি । এছাড়া ষাটের দশকে ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘লিডার’, ‘দিল দিয়া, দর্দ লিয়া’, ‘রাম অউর শ্যাম’, ‘আদমি’ ছবি করেন তিনি ।
১৯৫৬ সালে প্রথমবার তিনি ‘দাগ’ছবির জন্য ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান । তারপর ৭টি ফিল্ম ফেয়ার পেয়েছিলেন তিনি । ২০১১ সালে শাহরুখ খান একমাত্র তার এই রেকর্ড ছুঁতে পেরেছেন । তার ঝুলিতে রয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, ভারতীয় সিনেমায় এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য। ১৯৯১ সালে পদ্মভূষণে সম্মানিত হন দিলীপ কুমার । ১৯৯৪ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পান । ২০১৫ পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হন বর্ষীয়ান অভিনেতা ।
তিনিই প্রথম অভিনেতা, যিনি ১ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিতে শুরু করেন সিনেমা পিছু । সত্যজিৎ রায় তাকে বলেছিলেন ‘আদর্শ মেথড অ্যাক্টর’ । অশোক কুমারের অভিনয় শৈলিকে নকল করতেন দিলীপ । জীবনে একটিই ছবি প্রযোজনা করেছেন তিনি । ১৯৬১ সালে ‘গঙ্গা যমুনা’ । ৭০ সাল থেকে তার ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হতে শুরু করে । ১৯৭৬ সালে সেলুলয়েড থেকে পাঁচ বছরের বিরতি নেন দিলীপ কুমার। ১৯৮১ সালে 'ক্রান্তি' সিনেমার হাত ধরে কামব্যাক করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।