Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমির-কিরণের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কঙ্গনার কটাক্ষ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২১, ১০:২০ এএম

সম্প্রতি দীর্ঘ ১৫ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন আমির খান ও কিরণ রাও। আর তাদের বিচ্ছেদের খবর সামনে আসতেই বলিউড জুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। এবার আমির-কিরণ প্রসঙ্গে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করলেন কঙ্গনা রানাউত। মুসলিমকে বিয়ে করার পর মুসলিম ধর্মে পরিবর্তন কেন করতে হবে? প্রশ্ন তুললেন তিনি।

নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দীর্ঘ এক নোটে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘একসময় পঞ্জাবের বেশিরভাগ পরিবারে এক ছেলেকে হিন্দু এবং অন্য জনকে শিখ করার প্রথা ছিল। হিন্দু ও মুসলমান বা শিখ ও মুসলমানদের মধ্যে এ জাতীয় প্রবণতা দেখা যায়নি। আমির খান স্যারের দ্বিতীয় বিবাহ বিচ্ছেদের পরে আমি ভাবলাম যে কেন আন্তঃধর্মীয় বিবাহের ক্ষেত্রে বাচ্চারা সবসময়ই মুসলমান পরিচিতি পায়। মহিলারা কেন হিন্দু থাকতে পারেন না? সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও এটি পরিবর্তন করা উচিত। হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, এবং নাস্তিকরা যদি এক পরিবারে একসঙ্গে থাকতে পারে তবে মুসলমানরা কেন নয়? সর্বোপরি, মুসলমানকে বিয়ে করার জন্য কেন কাওকে ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে?’

উল্লেখ্য, আমির ও কিরণের একমাত্র ছেলে আজাদের পুরো নাম আজাদ রাও খান। বিয়ের পর নিজের নামের সঙ্গে পুরনো পদবী রেখে দেওয়ার পাশাপাশি ছেলেকেও নিজের ও আমিরের দুজনের পদবীই দিয়েছেন কিরণ। তিনি নিজেকে নাস্তিক বলে পরিচয় দেন। এমনকি নিরামিশাষী কিরণ বিয়ের পর আমিরকেও নিরামিশাষী বানিয়ে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির। তাঁদের পুত্র সন্তানের নাম আজাদ। এর আগে ১৯৮৬ সালে রিনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির। ২০০২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। আমির ও রিনার দুই ছেলে-মেয়ে, জুনায়েদ ও আইরা। দু'জনেই রিনার কাছে থেকে বড় হচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বলিউড

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ