মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেও থেমে নেই নারী নির্যাতন। দেশটির নারী সাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার এবং দেশের অন্যতম প্রগতিশীল রাজ্য হিসাবে পরিচিত কেরালাতে যৌতুকের জন্য পর পর ৪ জন গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনা অঞ্চলটিতে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এরপর ৬০ বছর আগে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এখনও চলমান যৌতুক প্রথার বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যটি।
আয়ুর্বেদ মেডিসিনের ছাত্রী ২০ বছরের বিস্ময়া নায়ারকে গত সপ্তাহে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে তিনি তার চাচাতো ভাইকে তার স্বামীর মারধরের বিষয়ে তথ্য এবং ছবি পাঠিয়েছিলেন। নায়ারের মৃত্যুর পরবর্তী দিনগুলিতে এক তরুণী গৃহবধুর পোড়া লাশ পাওয়া গেছে এবং কেরালার দক্ষিণে নিজ নিজ বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় আরও দুটি নতুন নববধূর লাশ পাওয়া যায়। নিহতদের পরিবারগুলি যৌতুক সংক্রান্ত হয়রানির অভিযোগ এনেছে। কেরালার রাজধানীতে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের নারীবাদী পণ্ডিত জে দেবিকা বলেছেন, ‘মহিলাদের বিবাহের সময় তাদের ‘উত্তরাধিকার’ দিয়ে দেয়া হয়, তবে বাস্তবে সমস্ত স্বর্ণ ও জিনিস স্বামী ও তার পরিবারের হাতে হস্তান্তরিত করা হয়।’
১৯৬১ সালে যৌতুক নিষিদ্ধ করে আইন জারি সত্ত্বেও, এই প্রথাটি এখনও ভারতীয় সমাজে ব্যাপকভাবে গৃহীত এবং প্রত্যাশিত। যৌতুক বিরোধী আন্দেলন কর্মীরা বলেছেন যে, এটি মহিলাদের বিরুদ্ধে উচ্চহারে সহিংসতায় জন্য উৎসাহ জাগিয়ে তুলেছে। গত ৪ মাসে রাজ্যটিতে ঘরোয়া বিরোধ সমাধান কেন্দ্রগুলি মহিলাদের কাছ থেকে ৬ হাজারেরও বেশি কল পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
সর্বশেষ সরকারি অপরাধের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারত জুড়ে যৌতুক বিরোধী আইনে ১৩ হাজারেরও বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল। কেরালায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আত্মহত্যা সহ যৌতুক সম্পর্কিত ৬৬ টি মৃত্যু এবং একই সময়ে ‘স্বামী ও স্বজনদের দ্বারা নিষ্ঠুরতার’ ১৫ হাজারেরও বেশি মামলা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।