বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া শহরের বেসরকারি ভাড়া বাসার সাথে সরকারি কোয়ার্টারের ভাড়া সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় গণপূর্ত বিভাগের ফ্ল্যাটগুলো দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে আছে। এরফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাড়িগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নিয়মিতভাবে বাড়িগুলোর ফিটিংস/ফিক্সার চুরি ও লোপাট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য এখানে কেউ থাকতে চায় না।
মাদকসেবীরা পরিত্যক্ত ভবনগুলোকে মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত করে তুলছে। অথচ এগুলো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণ স্ব-পরিবারে বসবাস করলে একদিকে যেমন কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনগুলো নির্মাণের স্বার্থকতা প্রমাণিত হতো। একই সাথে প্রাইভেট পর্যায়ের ভাড়া বাড়ির মালিকরা তাদের বাড়ি ভাড়া কিছুটা হলেও কমাতে বাধ্য হতো বলে মনে করেন বগুড়ায় বসবাসকারী ভাড়াটিয়ারা।
বিষয়টি সম্পর্কে বগুড়ার গণপূর্ত অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের মালতিনগর এলাকায় ৩২ একর জমির ওপরে এ ক্যাটাগরিতে ৮টি বিল্ডিং, ৪র্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৯৬টি, বি ক্যাটাগরিতে ৩য়/২য় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য আরো ৯৬টি/২০২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়। এছাড়া অফিসারদের জন্য ১টি এবং বিদেশিদের জন্য আরেকটি ভবন রয়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে এসব ফ্ল্যাট এখন ২০/২৫টি পরিবার বসবাস করছে। এতে স্টাফ কোয়ার্টার নামে পরিচিত এই বিরাট সরকারি হাউজিংটিতে বিরাজ করছে ভুত‚ড়ে পরিবেশ। ৮০ দশক পর্যন্ত এসব কোয়ার্টারগুলোতে বরাদ্দ নেয়ার জন্য চলতো তীব্র প্রতিযোগিতা। অথচ এখন সেখানে কেউ থাকতে চায় না।
জানতে চাইলে বগুড়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শাহরীয়ার জানান, সরকারি কেয়ার্টারে থাকলে একজন কর্মচারীর যে পরিমাণে টাকা হাউজরেন্ট কাটা যায় তার চেয়ে অনেক কম টাকায় ভালো মানের প্রাইভেট বাসা ভাড়া পাওয়া যায়। মূলত সে কারণেই সরকারি কোয়ার্টারগুলো খালি ফাঁকা পড়ে থাকছে। গণপূর্ত বিভাগের কয়েকজন প্রবীন কর্মকর্তা জানান, ৮০’র দশক পর্যন্ত বগুড়ায় যখন পর্যাপ্ত বিল্ডিং ছিল না। তখন সরকারি কোয়ার্টারগুলোতেই বাসা বরাদ্দ পাওয়ার জন্য চলতো বিভিন্ন লবিং।
বগুড়া জেলা প্রশাসন অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালের মার্চে বগুড়ার তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাকী উল্লাহ এক সংক্রান্ত একটি অফিসিয়াল সার সংক্ষেপ জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য পাঠিয়েছেন। বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধিন বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।