মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাম্প্রতিক সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির জেরে চীন নিয়ে ন্যাটোর উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন কখনও কোনো রাষ্ট্র বা জোটের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব পোষণ করে না। বিবৃতিতে ন্যাটোর নাম উল্লেখ না করে চীনা দূতাবাস বলেছে, ‘চীন কখনও কোনো রাষ্ট্র বা জোটের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব পোষণ করে না, বরং স্বভাবগতভাবে চীন একটি রক্ষণাত্মক দেশ।’ -বিবিসি
মঙ্গলবার শুরু হয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর উপকূলবর্তী ইউরোপ ও আমেরিকার ৩০ টি দেশের সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)-এর বার্ষিক সম্মেলন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদে আসীন হওয়ার পর এই প্রথম ন্যাটোর সম্মেলনে সশরীরে যোগদান করতে ইতোমধ্যে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে পৌঁছেছেন জো বাইডেন। চীনা দূতাবাসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সামরিক শক্তি বাড়ানোর বিষয়ে বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে যে আলোচনা চলছে, তার প্রেক্ষিতে আমাদের বক্তব্য হলো, আমরা সম্পূর্ণ বৈধ ও যৌক্তিকভাবে আমাদের সামরিক বাহিনী আধুনিকায়ন করছি। এতে যদি কারো মনে হয়, চীন কোনো রাষ্ট্রকে আক্রমণের জন্য তার সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে তাহলে তা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। বিশ্বের সব দেশই তাদের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করছে এবং তাদের মতো চীনের এই প্রক্রিয়াও স্বচ্ছ ও মুক্ত।
সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে সোমবার জোটটির মহাসচিব জিন্স স্টলটেনবার্গ এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের সামরিক শক্তি বাড়ানো এবং দেশটির উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও আগ্রাসী মনোভাব ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সামনে দিন কে দিন পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হচ্ছে। এটি যদি অব্যাহত থাকে, সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ন্যাটো চীনকে শত্রু মনে করে না এবং চীনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছেও এই জোটের নেই। মঙ্গলবারের বিবৃতিতে ন্যাটো মহাসচিবের বক্তব্যেরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চীনা দূতাবাস। পাশাপাশি বিবৃতিতে দেশটি অভিযোগ করেছে- এ ধরনের অপপ্রচার, গোষ্ঠীবদ্ধ রাজনীতি, সংঘাত এবং জ্বালানি বিষয়ক বৈশ্বিক প্রতিযোগীতার আদলে ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্রগুলো আসলে চীনের বৈধ অধিকার ও ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।
বর্তমানে সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নেতৃস্থানীয় দেশ চীন; একই সঙ্গে দেশটি ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণাবাদীও। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চীনের রাজনীতি, সমাজ ও মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে এই মুহূর্তে চীনের সামরিক বাহিনী সবচেয়ে বড়। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ২০ লাখ। সম্প্রতি আফ্রিকা মহাদেশে কিছু সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে চীন। সেখানে কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে দেশটির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।