পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাওনা টাকা চাইতে গেলে ব্যবসায়ী আহসান হাবিবকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে তারই ব্যবসায়িক অংশীদার নুরুন নবী ওরফে রনি (২৭)। হত্যাকাণ্ডটি ঘটাতে নুরুন নবীর সঙ্গে আরও তিন সহযোগী ছিলো। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডের নেপথ্যে কারন উদঘাটন করেছে সিআইডি। গ্রেফতারকৃতরা হলো- নুরুন নবী ওরফে রনি, মো. হাসান আহমেদ, জাহিদ হোসেন ও রঞ্জু। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি আরো জানান, গত ৮ মে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যবসায়ী আহসান হাবিব। এর আগে গত ৭ মে তাকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার হরিনহাটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে সাভারের বাসা থেকে বের হন আহসান হাবিব। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে ঘটনা তদন্তে নেমে নুরুন নবী ওরফে রনিকে গ্রেফতার করে সিআইডি। হাবিবের পাওনা ২০ লাখ টাকা পরিশোধ না করতে পেরে তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন রনি।
মুক্তা ধর বলেন, সাভার থেকে নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর আহসান হাবিব নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ শনাক্ত করে তার পরিবার। নিহত ব্যক্তি গত ৭ মে কালিয়াকৈর থানার হরিনহাটি এলাকার একটি বাসার নিচ তলায় আগুনে দগ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে পুলিশ। পরের দিন ৮ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান আহসান হাবিব। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আহসান হাবিবের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনায় তার শ্যালক জাকারিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িত আসামির অবস্থান শনাক্ত করে। সোমবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি মো. নুরুন নবী ওরফে রনিকে গ্রেফতার করা হয়। রনি আরও তিন জন সহযোগীকে নিয়ে ব্যবসায়ী আহসান হাবিবকে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে, তারপর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির পুলিশ সুপার বলেন, যে বাসায় ব্যবসায়ী হাবিবের শরীরে আগুন দেয়া হয়, সেই বাসাটি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেন আসামি রনি। পহেলা জুন এ বাসায় তার দুজন কর্মচারী থাকবে বলে বাড়ির মালিককে জানান রনি। ভাড়া নেয়ার পর রুমটি তালাবদ্ধ ছিল। রনি কোনও এক সময়ে এই ব্যবসায়ীকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করেন এবং তাকে হত্যার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আবারও ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।