প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
কথায় বলে, মানুষের মৃত্যুর পর তার গুরুত্ব বোঝা যায়। আর একথা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের ক্ষেত্রে। জীবিতাবস্থায় পাননি উপযুক্ত মর্যাদা। বরং অভিযোগ ওঠে তথাকথিত ইন্ডাস্ট্রির বহিরাগত হওয়ায় একঘরে করে রাখা হয়েছিল তাকে। নিয়তির কী খেল! আজ যখন মানুষটা ইহজগতে নেই তখন তার কথা ভেবে চোখের জল ফেলছে মানুষ, দেওয়া হচ্ছে মরণোত্তর সম্মান। এক সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে সুশান্ত সবথেকে কাঙ্ক্ষিত পুরুষ। ‘মোস্ট ডিসায়ারেবল ম্যান অফ ২০২০’র খেতাব পেয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা। সেরাদের তালিকায় মূলত হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির তারকাদেরই জয়জয়কার। তবে সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষস্থানে জ্বলজ্বল করছে সুশান্তের ছবি।
ওই সংবাদমাধ্যমের একটি আর্টিকেলে লেখা হয়েছে বলিউডের এক প্রবীণ অভিনেতার সুশান্তের সম্পর্কে কিছু বক্তব্য। সুশান্ত খুবই প্রতিভাবান ছিলেন। কোনো কিছুর সন্ধানে মগ্ন ছিলেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন ওই বলিউড অভিনেতা। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, সুশান্তকে সম্পূর্ণ বোঝার ক্ষমতা তার ছিল না।
এমনটা অবশ্য এর আগে প্রয়াত অভিনেতার অনেক ঘনিষ্ঠজনই বলেছেন। একাধারে দার্শনিক ও শিল্পী ছিলেন সুশান্ত। শুধুমাত্র সিনেমার গণ্ডিতে বাঁধা ছিল না তার জগৎটা। তার ইচ্ছের তালিকায় সিনেমা বা টাকা কখনোই স্থান পায়নি। বরং সুশান্তের পছন্দের তালিকায় ছিল সৌরজগৎ, নাসা বা CERN। বাড়িতেই অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ বসিয়েছিলেন সুশান্ত। বেশিরভাগ সময়টাই তার কাটতো ওই টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ জুন না ফেরার দেশে পাড়ি দেন সুশান্ত সিং রাজপুত। বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে মেলে তার ঝুলন্ত মরদেহ। তারপর থেকে বছর ঘুরতে চললেও সুরাহা হয়নি তার মৃত্যু রহস্যের। তবে হাল ছাড়েননি অভিনেতার ভক্তরা। তাদের বিশ্বাস সুশান্ত এখনো জীবিত রয়েছেন, মানুষের চিন্তায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।