প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ‘নাগিন ৩’ তারকা পার্ল ভি পুরির পাশে শুধু দাঁড়ালেন না প্রযোজক একতা কাপুর, বরং গোটা ঘটনা নিয়ে বালাজি টেলিফিল্মসের কর্ণধার যে বিবৃতি দিয়েছেন তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। পার্লের সঙ্গে একটি সেলফি পোস্ট করে ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ বিবৃতি তুলে ধরেন একতা কাপুর। তিনি জানান, নাবালিকার মা নিজের তাঁকে জানিয়েছেন পার্ল নির্দোষ এবং তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁর স্বামী।
একতা দীর্ঘ পোস্টে লেখেন-'আমি কী একজন শিশুর ধর্ষণকারীকে সমর্থন করব? অথবা যে কোনও শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্তর পাশে দাঁড়াব? কিন্তু গতকাল রাত থেকে এখনও পর্যন্ত আমি যে সমস্ত ঘটনার সাক্ষী থাকলাম তা মনুষ্যত্বকে কোথায় নামিয়ে এনেছে আমি জানি না! মানবিকতা এই স্তরে পৌঁছে যেতে পারে কি করে? একে অপরের প্রতি এত ঘৃণা, যে সেই মামলায় তৃতীয় ব্যক্তিকেও জড়িয়ে দিতে আমরা পিছপা হচ্ছি না?
নাবালিকার মায়ের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলবার পর আমি বলছি, উনি আমাকে স্পষ্ট জানিয়েছেন পার্লের এই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ওনার স্বামী গল্প ফাঁদার চেষ্টা করছে যাতে উনি নিজের কাছে মেয়েটিকে রাখতে পারেন এবং প্রমাণ করতে পারেন একজন ওয়ার্কিং মাদার নিজের বাচ্চার খেয়াল রাখতে পারে না। যদি এটা সত্যি হয় তাহলে সেটা সবদিক থেকে কতখানি ভুল!
মিটু-র মতো একটা আন্দোলনকে এইরকম ভুলভাবে কাজে লাগিয়ে কাউকে মিথ্যা ফাঁসিয়ে দেওয়া শুধু নিজের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য, এবং একটা শিশুকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা, একটা নির্দোষকে দোষী প্রমাণ করা'।
আমার কোনও এক্তিয়ার নেই, অবশ্যই আদালত বিচার করবে কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল। কিন্তু আমার এই ওপিনিয়নটা শুধুমাত্র নাবালিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলবার ভিত্তিতে। যে কাল থেকে আমাকে বলে চলেছে পার্ল নির্দোষ…. শুটিং সেটে রাক্ষসরা থাকে এটা অজুহাত দিয়ে কোনও ওয়ার্কিং মাদারের থেকে তাঁর সন্তানকে আলাদা করে দেওয়ার চেষ্টা একদম সঠিক নয়।
আমার কাছে সমস্ত ভয়েস নোটস, মেসেজ রয়েছে… যেখানে নাবালিকার মা স্পষ্ট বলছেন পার্ল নির্দোষ। এই চলচ্চিত্র দুনিয়া ঠিক ততটাই সুরক্ষিত কিংবা অসুরক্ষিত যতটা অন্য যে কোনও বিজনেস সেক্টর।যদি, পার্ল নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি আবেদন জানাব মানুষজনকে আরও একটু গভীরভাবে ভাবতে যে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে জরুরি এই আইন, আন্দোলনগুলোকে মানুষ কীভাবে বেঠিকভাবে ব্যবহার করছে নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য। আশা করছি সুবিচার হবে'।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের দায়ের করা হয়েছিল এই অভিযোগ। নাবালিকা পার্লের এক সহ-অভিনেত্রীর মেয়ে। ওয়ালিভ পুলিশ এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে, গতকাল সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকায় হয়েছিল পার্লকে এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ ভাসাই কোর্টে পেশ করা হয়ে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে পার্লকে, পসকো আইনে অভিযোগ থাকায় জামিন মঞ্জুর হয়নি অভিনেতার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।