বাংলাদেশের জন্মকথা
মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই
খুব সফল, আকর্ষণীয়, প্রার্থিত ও ক্যারেশমেটিক ব্যক্তির সাফল্যের চিত্র যখন সাহিত্যের ভাষায় ফুটিয়ে তোলা হয় তখন বলা হয়, ‘তিনি এলেন, দেখলেন ও জয় করলেন’। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার আকাশে ১৯৮৬ সালের ৪ জুন দৈনিক ইনকিলাবের উদয়ও ছিল ঠিক এমনই। কোটি কোটি বাংলাভাষীর সাংবাদিকতার জগতে আধুনিক সময়ের ঠিক মধ্যভাগে ইনকিলাবের আগমন। ‘শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে’ শ্লোগান শীর্ষে ধারণ করে বাংলাদেশে নতুন ধারণার সংবাদপত্র দৈনিক ইনকিলাব ছিল নতুন যুগেরও সূচনাকারী। তৎকালীন সময়ের সংবাদপত্র শিল্পে গড়পড়তা চেহারার তুলনায় কয়েক যুগ অগ্রসর দৈনিক ছিল এটি। ৯০’র দশকে বিশ্বের প্রাপ্ত সর্বাধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি এদেশে প্রথম ব্যবহার করে দৈনিক ইনকিলাব।
মুসলিম বাংলার সাংবাদিকতার জনক মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁর দৈনিক আজাদ ও মোহাম্মদী গ্রুপের মিশনারী স্পিরিট যখন সময়ের গ্রাসে হারানোর পথে, তখন সেই পরিণত মনন, মেধা, চেতনা ও প্রজ্ঞা নতুন করে বাস্তবে রূপায়িত হয় বাংলাদেশের আধুনিক প্রযুক্তির বহুল কাক্সিক্ষত জনপ্রিয় সাংবাদিকতার জনক মাওলানা এম এ মান্নান প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইনকিলাবের মাধ্যমে। এত চিন্তা-ভাবনা, গবেষণা-স্টাডি ও প্রস্তুতি নিয়ে এদেশে আর কোনো দৈনিক প্রকাশিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। যদি আজাদ, ইত্তেফাক, সংবাদ, ইনকিলাব, অবজারভার, টেলিগ্রাফ ইত্যাদির ইতিহাস রচিত হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি পাঠকপ্রিয়, সাড়া জাগানো ও গ্ল্যামারাস পত্রিকা হিসেবে ইতিহাসে ইনকিলাবের নাম থাকবে ভাস্বর।
ইনকিলাব তার প্রস্তুতিমূলক প্রকাশনা শুরু হওয়ার বছরখানেক পর প্রথম বাজারে আসে। ১৯৮৬ সালে জুনের ৪ তারিখ এটি পাঠকের হাতে আসে। ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম এ মান্নান তার জ্যেষ্ঠপুত্র এ এম এম বাহাউদ্দীনকে সম্পাদক পদে নিয়োগ দেন পত্রিকা প্রকাশের এক বছর আগে থেকে। প্রথম দিককার দেশবরেণ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক, সাহিত্যিক ও গবেষকদের নিযুক্তিও ৪ জুনের বহু আগে। এটি ছিল প্রতিষ্ঠাতার নিখুঁত পরিকল্পনা ও বাংলাভাষী পাঠকের মনোজগতে ব্যাপক পরিবর্তনের একটি মাইলফলক নির্মাণের হোমটাস্ক। এই পরিবর্তন শব্দটির পোশাকী রূপ হচ্ছে বিপ্লব। বিপ্লবের প্রতিশব্দই হচ্ছে ইনকিলাব।
ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম এ মান্নান আধ্যাত্মিক ব্যক্তি, বড় আলেম, নজিরবিহীন সংগঠক, সফল সমাজসেবী ও প্রতিভাবান রাজনীতিবিদ ছিলেন। এমপি, পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি, শিক্ষা, ধর্ম এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ছাড়াও মুসলিম বিশ্বে রাষ্ট্রপ্রধানের বিশেষ দূত হিসেবে তার আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ছিল তুলনাহীন। মধ্যপ্রাচ্যের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী শাসকদের সাথে তার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ইনকিলাব প্রকাশের আগে তিনি এর পরিকল্পনার সাথে যুক্ত সাংবাদিকদের মিশরের প্রাচীন ও প্রভাবশালী দৈনিক আলআহরামের অফিস পরিদর্শনে নিয়ে যান। মধ্যপ্রাচ্যের আরো কিছু বিখ্যাত পত্রিকা অফিসে তাদের ভ্রমণ করান। বাংলাদেশেও সে সময়কার স্বনামধন্য লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাংবাদিক, কলামিস্ট ও চিন্তাবিদদের একটি বড় অংশকে ইনকিলাবে নিয়ে নেওয়া হয়। একটি প্রবাদ আছে, সকালটি দেখে বোঝা যায়, দিনটি কেমন যাবে।
১৯৮৬ সালের ৪ জুন যখন ইনকিলাবের প্রথম বাজারজাতকৃত সংখ্যাটি বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করে, তখন জাতি ধারণা পেয়ে যায়, মুসলমানের এ সম্প্রীতিপূর্ণ স্বাধীন ভূখন্ডে বিশ্বাস ও চেতনার নতুন বিপ্লব এসে গেছে। দেশবাসী ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ যুগের বাংলা সাংবাদিকতার জগতে আন্তর্জাতিকতার, অগ্রসরমানতার, বৈশ্বিক রুচির স্বাদ প্রথমবারের মতো আস্বাদন করার সুযোগ পায়। এমন গেটাপ, মেকাপ, অঙ্গসজ্জা, নিত্যনতুন বিভাগ, পাতা ও আয়োজন সম্পর্কে সাধারণ পাঠক তো দূরের কথা, বিশ্বমানের কাগজের অগ্রসর পাঠকদেরও এতটা সমন্বিত ধারণা ছিল না। বলতে দ্বিধা নেই, সংবাদপত্র জগতের লোকজনও ইনকিলাব দেখে প্রতিদিনই নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনা ও আইডিয়া লাভ করতেন। ইনকিলাবের পাঠকবর্গ তাদের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ও ইনকিলাবকে ঘিরে তাদের ভালোবাসা, তৃষ্ণার্ত অপেক্ষা, মনের তৃপ্তি, আত্মিক প্রশান্তি এবং ভাবনা ও মননের বৈপ্লবিক আন্দোলন সম্পর্কে প্রতিনিয়তই ভাব প্রকাশে আনন্দিত বোধ করেন। নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছে এসব গল্প মনে হলেও গত তিন যুগের বাংলাদেশ, ইনকিলাব যুগের বাংলাদেশ এই বাস্তবতার জ্বলন্ত সাক্ষী।
সময়ের বিবর্তনে সবকিছুই পরিবর্তিত হয়। যুগ শেষ হয়। কোনো জাতির পতন হয়। কোনো জাতির উত্থান ঘটে। সাম্রাজ্য ধূলিস্যাৎ হয়। আল্লাহ বলেছেন, জগতে যা কিছু আছে প্রত্যেকেই ধ্বংসশীল। চিরন্তন শুধু আপনার পরম মর্যাদা ও মহিমাময় মালিকের অবস্থান। -আল কোরআন। আল্লাহ বলেন, তোমরা সময়কে দোষারোপ করো না; কারণ সময় বলতে আলাদা কিছু নেই, আমার কুদরতই সময়। -আল হাদিস। আজ ৩৬ বছরে পা দিয়েছে ইনকিলাব। প্রায় পুরো তিনটি যুগ। এর মধ্যে পৃথিবীতে কত কী যে ঘটে গেছে, তা গণনা করে শেষ করা যাবে না। কত প্রতাপান্বিত শাসক নিরস্তিত্ব হয়ে গেছে। জনপদ বিরাণ হয়েছে। পরাশক্তি ধসে পড়েছে। নতুন শক্তির উত্থান ঘটেছে। বাংলাদেশেও পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় পানি বয়ে গেছে অফুরান। নতুন পুঁজি, প্রযুক্তি ও প্রতিযোগিতা নিয়ে বহু কাগজ বের হয়েছে। অসংখ্য কাগজ মৃত্যুবরণ করেছে। তথ্য প্রযুক্তির অনলাইন যুগ মুদ্রণ জগতে কিছুটা হলেও ধস সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের অর্থনীতিতে বড় বড় মন্দা গেছে। ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসে গেছে। পৃথিবীর ঐতিহ্যবাহী বহু মিডিয়া হাউস তাদের কাগজ হয় বন্ধ করে দিয়েছে। নয়তো কঠিন সঙ্কোচনের আশ্রয় নিয়েছে।
বাংলাদেশে পেশাদার সংবাদপত্রের চেহারা পরিবর্তিত হয়ে পুঁজির হাতিয়ার হিসেবে তা ভিন্নরূপে প্রজন্মের সামনে এসেছে। কর্পোরেট স্বার্থ, তথ্যসন্ত্রাস, অজ্ঞাত অর্থায়ন সংবাদপত্র জগতকে বিপুলভাবে সংশয়িত করেছে। একটি কাগজ ব্যবসায়ের হাতিয়ার, ব্যাংক ঋণের অস্ত্র ও কালো টাকার প্রহরী হতে পারে, তা আগে মানুষ কল্পনাও করত না। জাতির বিবেক এখন অনেকাংশেই গণমানুষের অনাস্থার শিকার। শক্তিমানের আনুকূল্য, বিচিত্র আর্থ-বাণিজ্যিক পক্ষের বিজ্ঞাপনী সহায়তা, নানাবিধ থোক অনুদান প্রভৃতির ভরসা করে বহু মিডিয়া বেঁচে থাকে। প্রকৃত পেশাদারিত্ব ও নির্মোহ বিবেকচর্চা বর্তমানে বিরল। নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে দৈনিক ইনকিলাব যেভাবে নিজের সময়গুলো অতিক্রম করেছে তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। অনেকটা অলৌকিক। প্রতিষ্ঠা ও বিকাশের সূচনা থেকে সর্বশক্তিমান মহান রব্বুল আলামিনের অপরিসীম রহমত, করুণা, দয়া এর সাথে ছিল। দেশের লাখো আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ বুজুর্গানে দ্বীনের দোয়া এর পথচলার প্রেরণা। তাদের দোয়ার ভাষা এমন, হে আল্লাহ ইনকিলাবকে কেয়ামত পর্যন্ত কায়েম রাখুন। পার্থিব কোনো বিষয়কে ‘চিরজীবী হোক’ বলার অর্থে এই দোয়া করা হয়।
ইনকিলাব তিন যুগ ধরে বাংলা ভাষার নেতৃস্থানীয় পত্রিকা। শীর্ষ নেতৃত্বের পত্রিকা। রাষ্ট্র, সমাজ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি- সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দানকারীদের অবশ্য পাঠ্য। বাংলাদেশের জনগণের ধর্মীয় শিক্ষা, চেতনা ও রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরিতে যে সামাজিক ব্যক্তিবর্গ নেতৃত্ব দেন তাদের অপরিহার্য পঠন সামগ্রী। তরুণ-তরুণীদের সামগ্রিক চিন্তা-চেতনার ধারক। ইনকিলাব ঐতিহাসিক সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানের গর্বিত উত্তরাধিকারী। ইনকিলাব তার দশ সহস্রাধিক সম্পাদকীয় কলামে দেশ-জাতি ও রাষ্ট্রের কল্যাণ-উন্নয়ন এবং গতিশীলতায় সর্বোচ্চ মেধা-অভিনিবেশ ও আন্তরিকতার মাধ্যমে সময়ের সঠিক করণীয় তুলে ধরেছে। ইনকিলাব দেশ ও জাতির প্রতি তার অঙ্গিকার নানা বাধা, প্রতিবন্ধকতা, সমস্যা ও সংকট অতিক্রম করে এবং অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখযোগ্য বড় দুয়েকটি পত্রিকা তাদের মিশন ধরে রাখলেও ভাবগাম্ভীর্য ও আভিজাত্য হারিয়েছে। বেশি বয়সী ঐতিহ্যবাহী পত্রপত্রিকা এখন নেই বললেই চলে। এমন সঙ্কটময় মুহূর্তেও দৈনিক ইনকিলাব নিজের জেল্লা ধরে রাখতে পেরেছে। নিঃসন্দেহে এটি তার দীর্ঘায়ু ও চিরসবুজ হওয়ারই নমুনা। কেয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকা বা কোনো মিশনের প্রভাব চিরায়ত হওয়ার এটাই অর্থ। দার্শনিক ও কবি ওমর খৈয়ামের ভাষায়, ‘মদ রুটি ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার চোখ দুটিও হয়ে যাবে নিষ্প্রভ। বইগুলো অনন্ত যৌবনা, যার আবেদন কোনো দিন ফুরোবে না।’ চির তরুণ ও অনন্ত যৌবনা বলতে মানুষ যে বিশ্বাস ও চেতনাকে বোঝে ইনকিলাব এমনই এক চেতনার বাহক। প্রথম যেদিন এর অভ্যুদয় ঘটে সেদিনই ইনকিলাব ছিল পূর্ণ যুবক। ৩৬ বছরের এই নতুন ভোরেও ইনকিলাব তার নৈতিক ও ব্যবহারিক তারুণ্যের উদ্দীপনাকে লালন করে আজকের দিনেও সে একই রকম পূর্ণ যুবক। এই সতেজতা এই সজীবতা এই গ্ল্যামার ইনকিলাবের অনন্য বৈশিষ্ট্য।
প্রিন্ট মিডিয়ার প্রামাণিকতা ও আভিজাত্য অনস্বীকার্য হলেও দুনিয়া এখন ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। ভার্চুয়াল জগত এখন সরগরম। যথারীতি ইনকিলাবও অনলাইন ভার্সনে তার পূর্ণ জৌলুস নিয়ে বিরাজমান। লাখো পাঠকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু আর কোটি মানুষের তথ্য জ্ঞান চিন্তা ও বিনোদনের উৎস। বাংলাদেশের শত পত্রিকার ভিড়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের সংবাদ ইনকিলাবের আলাদা কীর্তি। স্পোর্টস ও বিনোদনে ইনকিলাবের বিশেষ স্বাতন্ত্র্য প্রমাণিত। আজকের বাংলা সংবাদপত্র অসংখ্য ট্রেন্ড আয়ত্ত করেছে ইনকিলাবের কাছ থেকে। এখন বাংলাদেশের এমন পত্রিকা খুব কমই পাওয়া যাবে যেখানে ধর্মীয় বিষয় নেই, নামাজের সময়সূচি নেই, রমজানের ক্যালেন্ডার নেই। অনেক কাগজ প্রতিদিন ইসলাম বিষয়ে একপাতা বরাদ্দ দেয়, অনেকে এক কলাম, বহু পত্রিকা সাপ্তাহিক ইসলামী পাতা করে। এসবই ইনকিলাবের দেখানো পথ। বহু বিষয়ের সাথে এক্ষেত্রেও ইনকিলাব পাইওনিয়ার। ইনকিলাব দেশ ও জাতির চলমান জীবনযুদ্ধে বিপ্লবের অগ্রপথিক। আর আগেই বলেছি, ইনকিলাব মানেই বিপ্লব।
অনেক সময় আমরা ইনকিলাবের কর্মীরা নিজেদের চলার পথের কষ্ট-সংগ্রামের কথা বলাবলি করি। কারণ, আমাদের বলার মতো ইতিহাস আছে। সংগ্রামের ঐতিহ্য আছে। ত্যাগ ও ধৈর্যের মহিমায় সমুজ্জ্বল অতীত আছে। আমাদের সম্পাদক বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে একাধারে ৩৭ বছর কার্যকর দায়িত্ব পালনকরা চিন্তাশীল ও সক্রিয় সম্পাদক। বাংলাদেশের প্রবীণ সম্পাদকদের অনেকেই গত হয়েছেন। তিনি অপেক্ষাকৃত তরুণ, তিনি ঝঞ্জা বিক্ষুদ্ধ সমুদ্রে দক্ষ নাবিকের মতো এই বিপ্লবের নেতৃত্ব হাতে নিয়ে কঠিন ত্যাগ ও সাধনার ইতিহাস গড়েছেন। দীর্ঘ এ পথপরিক্রমা মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। এ পথ সীমাহীন পরীক্ষা ও ত্যাগ তিতিক্ষায় ভরা। এ যাত্রা অনেক ধৈর্য ও সাহসিকতার গল্পে ঠাসা। তার একটানা ২৪ ঘণ্টা চিন্তার সচলতা, বহুমুখী পড়াশোনা, অসাধারণ বিশ্বঅধ্যয়ন, অগ্রসর-আপডেট তথ্যানুসন্ধান, বাস্তব জীবনে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জিত সোশিও পলিটিক্যাল কানেকটিভিটি ও সৃষ্টিশীল মেধা গোটা পত্রিকার পথ প্রদর্শন করে। তার উদ্ভাবনী চিন্তা প্রতিটি কর্মীকে উজ্জীবিত ও আলোকিত করে। ইনকিলাব কোয়ালিটি পাঠকের পত্রিকা হতে পেরেছে তারই চয়নকৃত সংবাদ, আন্তর্জাতিক নিউজ কমেন্ট্রি, ওয়ার্ল্ডক্লাস এনালাইসিস ইত্যাদির কারণে। নিউজ, রিপোর্টিং, সম্পাদকীয়, ফিচার ও যাবতীয় রিডিংম্যাটার সরাসরি তার অব্যাহত নেতৃত্বের প্রতিফলন।
দেশের প্রথম কাতারের নেতৃত্ব ইনকিলাব থেকে দিশা লাভ করে। ইনকিলাবের নিঃস্বার্থ নির্মোহ দিকনির্দেশ থাকে কেবল দেশ ও জনগণের পক্ষে। সংবাদপত্রের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় অসংখ্যবার একটি কথা শোনার সৌভাগ্য হয়েছে। হাজারো মানুষ বলেছেন, ‘প্রতিদিন দু’ চার পাঁচটি পত্রিকা পড়লেও ইনকিলাবের তৃষ্ণা থেকেই যায়’। এ কথাটির অর্থ বোধহয় এই হবে যে, ইনকিলাব গণমানুষের অন্তরাত্মার, চিন্তা ও চেতনার গভীরগহনকে স্পর্শ করে। তিন যুগ ধরে একটি তুখোড় কাগজ যে তার বৈপ্লবিক চরিত্রের ফলে প্রথম দিনের মতো সমান সতেজ ও প্রাণময় থাকতে পারে, ইনকিলাবই তার বিস্ময়কর নজির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।