পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যে ৩৬ বছর পেরিয়ে ৩৭ বছরে পদার্পণ করল দৈনিক ইনকিলাবের প্রকাশনা। আলহামদু লিল্লাহ। ইনকিলাব অর্থ বিপ্লব। ১৯৮৬ সালের এদিন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ইনকিলাব প্রতিষ্ঠা করে দেশের সংবাদপত্র শিল্পে ‘বিপ্লব’ ঘটিয়েছেন। দৈনিক ‘ইনকিলাব’ এই ৩ যুগে হয়ে উঠেছে দেশের মা, মাটি ও মানুষের হৃদয়ের কণ্ঠস্বর। দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন ইনকিলাবের খবরকে গুরুত্ব দেয়; তেমনি দেশের ওলামা-মাশায়েখ ও দৌহিদী জনতা মনে করেন ইনকিলাব তাদের ভ্যানগার্ড (অগ্রদূত)। ৯২ ভাগ মুসলমানের এই বাংলাদেশকে বিজাতীয় সংস্কৃতির চারণভূমি বানানোর অপচেষ্টা যখন চলছিল; তখন দেশজ সংস্কৃতি চর্চা ও মুসলিম সমাজের নিজস্ব জীবনাচার প্রতিষ্ঠার ভ্যানগার্ড হিসেবে গণমাধ্যম জগতে আবির্ভাব ঘটে ইনকিলাব-এর। জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধকে সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দেশের আলেম-ওলামাদের ভ্যানগার্ড হিসেবে রক্ষা করছে। ইনকিলাব প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি এখন অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত হচ্ছে। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ পাঠক পত্রিকা পড়ছেন। মতামত দিচ্ছেন। নিজেদের মতামত তুলে ধরছেন।
বিজ্ঞানের কল্যাণে সারা বিশ্বের মিডিয়া জগতে প্রিন্ট মিডিয়া ছাড়াও নানাবিধ গণমাধ্যমের উদ্ভব ঘটেছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৩৬ বছর (৩ যুগ) মোটেই কম সময় নয়। ‘শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে’ সেøাগান নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যনির্ভর সংবাদ এবং খবরের পেছনের খবর প্রকাশের প্রতি অবিচল থেকে ইনকিলাব ৩৬ বছর অতিক্রম করে ৩৭ বছরে পা দিলো। ইনকিলাবের এ দীর্ঘ চলার পথ মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। চলার পথে বাঁকে বাঁকে হোঁচট খেয়েছে। একাধিকবার পত্রিকাটি প্রকাশনায় আঘাত এসেছে। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পথে থেকে সঠিক খবর প্রকাশ করায় পাঠকদের ভালোবাসায় পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত রয়েছে। দৈনিক ইনকিলাবের ৩৬ বছর পেরিয়ে ৩৭ বছরে পদাপর্ণের ঐতিহাসিক শুভক্ষণে সকল পাঠক, তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক-লেখক-বিজ্ঞাপনদাতা-শুভানুধ্যায়ী সকলকেই অফুরন্ত শুভেচ্ছা।
জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধের দীপ্ত শিখায় উদ্ভাসিত ইনকিলাবকে দীর্ঘ এ চলার পথের নানান বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। ভিনদেশি সংস্কৃতিসেবী এবং তথাকথিত প্রগতিশীলদের রক্তচক্ষু রোষানল মোকাবিলা করতে হয়েছে। কখনো কণ্ঠ চেপে ধরার চেষ্টা হয়েছে; কখনো মত প্রকাশে প্রতিবন্ধকতার চেষ্টা হয়েছে। কখনো মিথ্যা অজুহাতে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা হয়েছে। সব বাধা অতিক্রম করে আপোষহীনভাবেই এগিয়ে চলেছে ইনকিলাব; থেমে থাকেনি। এ ৩৬ বছরে বিশ্বের অনেক প্রিন্ট মিডিয়া খাবি খাচ্ছে। টিকে থাকার লড়াইয়ে বিশ্বসেরা অনেক প্রিন্ট মিডিয়া ‘কলেবর’ কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে। টিভি ও বেতার মিডিয়া ছাড়াও অনলাইন মিডিয়া সারাবিশ্বের খবর দ্রুত প্রচার করছে। হালে ফেসবুক, ব্লগ, টুইটারসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সারাবিশ্বের প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। কারণ বোতাম টিপলেই সঙ্গে সঙ্গে খবর জানা যায়। অথচ প্রিন্ট মিডিয়া ভার্সন ২৪ ঘণ্টা পর প্রকাশ হয়ে থাকে। ফলে চ্যালেঞ্জে পড়ে যায় প্রিন্ট মিডিয়া।
বাংলাদেশের প্রিন্ট মিডিয়ার অবস্থা আরো খারাপ। কারণ বাংলাদেশে এখন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা গণমাধ্যম গড়ে তোলার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। নানা পন্থায় উপার্জিত অর্থ রক্ষা করা, সরকারকে কর ফাঁকি দেয়া, ব্যবসা-বাণিজ্যের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সে সময় মিডিয়ায় সাংবাদিকদের উচ্চহারে বেতন দিয়ে কর্পোরেট হাউজের স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে যেসব প্রিন্ট মিডিয়া আদর্শ নিয়ে গণমানুষের সেবার মানসিকতা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সেগুলো কিছু চাপে পড়ে গেছে। এর মধ্যে আবার বৈশ্বিক মহামারি করোনার দুই বছর আন্তর্জাতিক লকডাউন, দেশীয় লকডাউন ও অঞ্চল ভিক্তিক লকডাউনে প্রিন্ট মিডিয়ার বিক্রি কমে গেছে। অন্যদিকে কাগজ, কালিসহ প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যবহৃত সব পণ্যের মূল্য বেড়ে গেছে হু হু করে। ফলে ঝুঁকিতে পড়ে যায় প্রিন্ট মিডিয়া। ওদিকে কর্পোরেট হাউজগুলো নিজেদের প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের পেছনে টাকা খরচ করে অন্য ব্যবসার মাধ্যমে তারা তা তুলে নিচ্ছেন। কর্পোরেট হাউজের মালিকানাধীন মিডিয়াগুলোয় কেউ কেউ ব্যবসায়িক বিরোধের হাতিয়ার হিসেবে একে অপরের বিরুদ্ধে ‘ফেইক নিউজ’ প্রচারের প্রতিযোগিতা করছেন। আবার সরকারপন্থী মানসিকতার লোক হওয়ায় বিজ্ঞাপন পাওয়া যাবে এমন চিন্তা থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা বের করে কাটতি বাড়াতে ‘রমরমা’ খবর প্রচার করেন। ফলে হলুদ ওইসব মিডিয়ায় সাংবাদিকতার গন্ধ থেকে যায়। তাদের ঝকঝকে কাগজ, পরিচ্ছন্ন প্রিন্ট পাঠককে সহজেই আকৃষ্ট করে।
এহেন পরিস্থিতিতে ইনকিলাব প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছে। ইনকিলাবের কাগজ দেখতে কিছুটা অনুজ্জ্বল, নিম্নমানের বটে। কিন্তু সংবাদ প্রচারের আগে খবরের বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত হয়ে এবং সুচারু সম্পাদনায় খবর প্রচার করায় পাঠকের চাহিদা এতটুকু কমেনি। পাঠক ধরতে ইনকিলাব গড্ডালিকায় গা ভাসায়নি; কাটতি বাড়াতে খবরে রঙ মেশায়নি। শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে প্রতিদিন সঠিক খবর প্রচার করছে। এটা প্রতিদিন পাঠকের কাছে ইনকিলাবের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার নামান্তর। এ পরীক্ষায় ইনকিলাব সফল হয়েছে। এ ৩৬ বছরে অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে; ইনকিলাবে সংবাদ ছাপানোর পর প্রশাসন সে খবরের সূত্র ধরে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। ইনকিলাবের সংবাদের সূত্র ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তে মাঠে নেমেছে। এমনকি ইনকিলাবে প্রকাশিত ‘সংবাদ’ দেখে স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। দেশে অসংখ্য প্রিন্ট মিডিয়া, অর্ধশত টেলিভিশন, অসংখ্য রেডিওতে খবর প্রচার হচ্ছে। তারপরও ৪/৫টি পত্রিকা পড়ার পরও ‘সংবাদের প্রকৃত তথ্য জানতে’ পাঠকদের অনেকেই ইনকিলাব পড়েন।
কয়েক বছর ধরে প্রিন্ট পত্রিকার পাশাপাশি ইনকিলাবের অনলাইন ভার্সনও চালু হয়েছে। ইনকিলাবের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে প্রবল আত্মবিশ্বাসী টিমওয়ার্ক। নেতৃত্বে রয়েছেন দেশপ্রেমী আপোষকামী একজন সম্পাদক। দীর্ঘ এ ৩৬ বছর তিনি লোভে পড়ে নীতি-আদর্শ বিসর্জন যেমন দেননি; তেমনি করো চোখ রাঙানিতে কাবু হননি। ইনকিলাব প্রকাশনায় সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, নির্বাহী সম্পাদক ফাহিমা বাহাউদ্দীন থেকে শুরু করে ইনকিলাবের সকল পরিচালক, সারাদেশের উপজেলা, জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, আঞ্চলিক অফিস, কেন্দ্রীয় অফিসে কর্মরত সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমনকি প্রেসের মেশিনম্যান, পিয়ন-দারোয়ান পর্যন্ত এ সাফল্যের অংশীদার। এমনকি সারাদেশের সর্বস্তরের হকার, বিজ্ঞাপনদাতা সকলে এ সাফল্যের ভাগিদার। আর্থসামাজিক টানাপড়েন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার দোলাচলে বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেও ‘সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার’ প্রতিষ্ঠায় নিত্য লড়াই করে যাচ্ছে জন্মলগ্ন থেকেই।
ইনকিলাব সব পাঠকের পত্রিকা। চলার পথে কখনোই নীতির প্রশ্নে আপোষ করেনি; অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিত্যদিনের খবরের পাশাপাশি বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, ভূ-রাজনীতি, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, ইসলামী দুনিয়া, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, মতামত, বিশ্লেষণ, শিক্ষাঙ্গন, সমাজ জীবন, নাটক-সিনেমা-সংগীত, আন্তর্জাতিক বিষয়াদির চালচিত্র গুরুত্বসহকারে তুলে ধরছে পাঠকদের জন্য। এখনো ইনকিলাবে যে আন্তর্জাতিক খবর প্রকাশ করে থাকে ঢাকার অনেক পত্রিকায় দু’তিনদিন পর তা ছাপা হতে দেখা যায়।
ইনকিলাব শুধু বিজাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখেই দাঁড়ায়নি; দেশজ সংস্কৃতি চর্চায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে সুদীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে। সংস্কৃতি হলো একটি দেশে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর নিজস্ব জীবনাচার। মানুষ নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্যদিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেড়ে ওঠে। এটা পাহাড় পর্বত থেকে উৎপত্তি হওয়া আবহমানকাল ধরে প্রভাবিত নদীর মতো। পালাগান, জারিগান, বাউল গান, মুর্শিদীগান, লোকগান, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি এগুলো বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি। এগুলোকে আড়াল করতে কৃত্রিম খাল খনন করে লেকে পানিপ্রবাহ সৃষ্টির মতোই প্রবাহ সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন বিজাতীয় সংস্কৃতির এ দেশীয় এজেন্টরা। তথাকথিত প্রগতিশীলতার নামে তারা ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশকে ‘হিন্দুয়ানি সংস্কৃতির চারণভূমি’ বানানোর চেষ্টা করে। ইনকিলাব সেটার ওপর আঘাত করেছে জন্মলগ্ন থেকেই। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চিন্তায়, চেতনায়, কর্মে পরিবর্তিত বিশ্ব ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যা কিছু সত্য, সুন্দর, ভালো, মহৎ, জনকল্যাণকর এবং দেশ-জনগণের জন্য ইতিবাচক সেসব খবরই প্রাধান্য দিয়েছে। ইসলামী আকীদায় উদ্ভাসিত হয়ে শত চাপ ও বিরোধিতার মুখে ইনকিলাবের পাতায় পাতায় ‘সাদাকে সাদা’ আর ‘কালোকে কালো’ বলে শব্দমালা এঁকেছে। ইসলামী মূল্যবোধ নীতিতে আপোষ না করেই খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সকল ধর্মাবলম্বীর অধিকার, মত ও পথকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ ছাপছে। ইসলামী ভাবধারা লালন করলেও বিপরীতমুখী বাম রাজনীতির চিন্তা-চেতনা ও মতামত অকৃপণতার সঙ্গে তুলে ধরেছে। খবর প্রকাশে কোনো রাজনৈতিক দলের অন্ধ সমর্থন বা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ায়নি। খবর প্রচারে প্রকৃত তথ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। খবর প্রকাশে বৈচিত্র্যময়তায় সব মত-পথ, প্রবীণ-নবীন ও ভবিষ্যৎ পাঠকের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করেছে। বিশ্বায়নের নামে দেশে সংস্কৃতির আগ্রাসন এখনো চলছে। এখনো আলেম সমাজ ও মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়।
প্রগতিশীলতার নামে এখনো ভিনদেশি টাকায় বল্গাহীন ঘোড়ার মতো দেশের মিডিয়া জগতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ইসলামবিদ্বেষী চেতনা। মাদরাসা শিক্ষা ও আলেম-ওলামাকে কোণঠাসা করে রাখা; অন্যদিকে আকাশ সংস্কৃতির নামে দেশকে বিজাতীয় সংস্কৃতিচর্চার উর্বর ভূমিতে পরিণত করাই তাদের উদ্দেশ্য। শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার নামে উলঙ্গ নৃত্যের তালে দেশের আলেম-ওলামা-মাদরাসা শিক্ষা, পীর-মশায়েখ-দাড়ি-টুপিকে তুচ্ছজ্ঞান করা কিছু শিক্ষিত ব্যক্তির নিত্যচর্চা হয়ে গেছে। দেশের দায়িত্বশীল কিছু মিডিয়াও সেই স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। কলকাতার হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির দৌরাত্ম্যে দেশের আলেম সমাজের সম্মানবোধ নিয়ে বেঁচে থাকা যখন দূরূহ হয়ে পড়েছিল, দিশাহীন আলেম সমাজ নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ; তখন ১৯৮৬ সালে গণমাধ্যম হিসেবে ইনকিলাব ঝাঁকুনি দিয়েছে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ‘খামোশ’ বলে তথাকথিত প্রগতিশীলদের প্রতিরোধ করছে। এখনো মাদরাসা শিক্ষাবিদ্বেষীদের পরিচালিত অনেক গণমাধ্যম মসজিদ, মাদরাসার বিরুদ্ধে খবর প্রচার করে। এমনকি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় নিয়ে অহেতুক বিদ্বেষ ছড়ানোর খবর প্রচার করে। ইনকিলাব এ ধরনের প্রকাশে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সত্যতা যাচাই-বাছাই করে। তারপর সুচারুভাবে সম্পাদনার পর প্রচার করা হয়। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মসজিদ মাদরাসার আলেম-ওলামা-মাশায়েখরা ইনকিলাবের খবরকে একমাত্র নির্ভরশীল সংবাদ মনে করেন। এমনকি স্পর্শকাতর অনেক খবর সকল পত্রিকায় প্রকাশের পর মন্দিরের পুরোহিতরা ‘প্রকৃত চিত্র’ জানতে ইনকিলাব পড়েন। তাছাড়া শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা; সমর্থনের জন্য অন্ধ সমর্থন ইনকিলাব কখনো করেনি। ইনকিলাব প্রমাণ করেছে দৈনিক পত্রিকা মানে পাঠকদের কাছে আরো কিছু। যারা ইনকিলাব পড়েন তারা একদিন পত্রিকা না পড়লে থাকতে পারেন না অস্বস্তিবোধ করেন। দেশ-বিদেশের হাজার মিডিয়ার ভিড়ে অগণিত পাঠকের সিক্ত ভালোবাসা, আস্থা ও বিশ্বাস ইনকিলাবের চলার পথে আরো সাহস প্রেরণা যোগাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।