পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুষ্ঠু নির্বাচন ও সম্মেলন নিয়ে সন্দেহ সংশয় : তালিকা প্রকাশের পরই ১ জনের পদত্যাগ!
ত্যাগী-নির্যাতিত কর্মীরা উপেক্ষিত : অতীতের ঘটনারই পুনরাবৃত্তির শঙ্কা
পানি অনেক ঘোলা করার পর অবশেষে ঘোষণা হল বগুড়া জেলা বিএনপির নির্বাচনের তারিখ ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নাম। তবে কমিটির তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পরপরই সিনিয়র সদস্য ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল লিখিতভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সাড়ে তিন বছর আগে ঘোষিত বগুড়া বিএনপির আহŸায়ক কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক। এছাড়া সদ্য গঠিত বগুড়া জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতেও তাকে যুগ্ম আহŸায়ক করা হয়েছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে যোগাযোগ করা হলে ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল জানান, তিনি আসন্ন জেলা বিএনপির নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। আর সে কারণেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে থাকাকে তিনি অনৈতিক হবে বলে মনে করছেন।
জেলা বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, বহু নাটকীয়তা শেষে কেন্দ্রের চাপে আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ২ নভেম্বর বগুড়া জেলা বিএনপির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ১৩ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। কমিটিতে চারজন সিনিয়র নেতাকে উপদেষ্টা মনোনিত করা হয়েছে। এরা হলেন, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বর্তমান এমপি জিএম সিরাজ, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম এবং বগুড়ার সাবেক পৌর মেয়র একেএম মাহবুবুর রহমান।
এছাড়াও এই কমিটির আহŸায়ক করা হয়েছে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহŸায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল এবং সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন এমপি। সদস্য করা হয়েছে অ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, মীর শাহে আলম, মোর্শেদ মিল্টন ও একেএম তৌহিদুল আলম মামুন।
উল্লেখিত ১৩ জনের মধ্যে যুগ্ম আহŸায়ক হিসেবে ঘোষিত ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল জেলা বিএনপির আহŸায়ক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশাকে উদ্দেশ্য করে লেখা এক পত্রে তার পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। পত্রটি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারও করেছেন।
এদিকে জেলা বিএনপির নির্বাচনের ভোটার তালিকা গতকাল এই রিপোর্ট লেখার সময় প্রার্থীরা হাতে পাননি বলে জানা গেছে। ভোটার তালিকা প্রকাশিত হলে অনেকেই প্রার্থী হবেন। ইতোমধ্যে বগুড়া জেলা বিএনপির বর্তমান আহŸায়ক রেজাউল করিম বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, বর্তমান যুগ্ম আহŸায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনা এবং বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন তাদের প্রার্থীতার কথা ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাহিদুল ইসলাম গফুর, আব্দুল আজিজ হিরার প্রচারণামূলক কার্যক্রম গতকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে।
এদিকে বগুড়া জেলা বিএনপির আওতাধীন ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌর কমিটিগুলো জেলা বিএনপির বর্তমান আহŸায়ক ও সভাপতি প্রার্থী রেজাউল করিম বাদশা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আলী আজগর তালুকদার হেনা এবং হামিদুল হক হিরুর খেয়াল খুশিমত হয়েছে। একইভাবে বগুড়া জেলা বিএনপির আসন্ন জেলা সম্মেলন ও নির্বাচন ঠিক ওই কৌশলে করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। আর এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র নেতা তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বর্তমান আহŸায়ক কমিটির অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা সম্মেলন, নির্বাচন এবং কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলের ত্যাগী, নির্যাতিত কর্মীদের গণহারে উপেক্ষা করা হয়েছে। অপরদিকে ধনী, সুবিধাবাদী, বড় ব্যবসায়ী এবং বাঁকা পথে অর্থ উপার্জনকারীদের ব্যাপকভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
এসব নিয়ে তারেক রহমান ও কেদ্রীয় নেতাদের দফতরে জমা পড়েছে অভিযোগের স্তুপ। স্থানীয়ভাবে হয়েছে মিছিল, প্রতিবাদ, ভাঙচুর ও সংবাদ সম্মেলন। এতেও কোনো প্রতিকার না হওয়ায় ভুক্তভোগীদের ধারণা বগুড়া জেলা বিএনপির আসন্ন সম্মেলন ও নির্বাচনে অতীতের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।