বাংলাদেশের জন্মকথা
মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই
মধ্যযুগের শাহ মহম্মদ সগীর, আলাওল, সৈয়দ সুলতান প্রমুখ বাঙালি মুসলমান লেখকের দেখে যতখানি স্বাধীন, আত্মবিশ্বাসী ও বাঙালি বলে মনে হয়, আধুনিককালের বাঙালি মুসলমান লেখকদের সেভাবে চেনা যায় না। মূলত বাঙালি মুসলমানের মধ্যে হীনমন্যতার বীজ রোপিত হয় ইংরেজশাসনামলে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হারানো ভারতীয় মুসলমানরা ক্ষমতা হরণকারী ইংরেজদের থেকে ঘৃণায় কিংবা অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আত্মসমর্পণ করে ইংরেজশাসক এবং তাঁদের শিক্ষা-দীক্ষা ও সংস্কৃতির কাছে। কোলকাতাকেন্দ্রিক ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুরা ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাঙালি-মুসলমানদের থেকে এগিয়ে যায় একশ বছর। বাঙালি মুসলমান যখন আত্মঘাতী ভুল শুধরিয়ে নিয়ে হিন্দুদের সাথে দৌড়াতে থাকে, তখন আধুনিক সভ্যতার জগতে হিন্দুরা কুলীন। স্বীকৃতির জন্য বাঙালি মুসলমানকে দ্বারস্থ হতে হয় এই কুলীনদেরই। সাম্প্রদায়িক বঙ্কিমচন্দ্রের বিষবৃক্ষের কাঁটায় বারংবার তাঁরা ক্ষত-বিক্ষত হলেও সাহিত্যের জগতে এসে অন্ধের মতো অনুকরণ করতে থাকে বঙ্কিমীয় ভাষা ও স্টাইল। মীর মশাররফ হোসেনের বিষাদ-সিন্ধু মুসলিম আখ্যান নিয়ে রচিত হলেও এর ভাষা ও বর্ণনাশৈলী দেখে মনে হয়, কোনো উদারপন্থী হিন্দু লেখকের রচনা। বাঙালি-মুসলমানদের মধ্যে সত্যিকার আধুনিক ও বীরের মতো মেরুদন্ড খাড়া করে দাঁড়ানো লেখক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। রবীন্দ্রনাথের পরে নজরুলের মতো এত বড় লেখক বাংলা ভাষাতে আবির্ভূত হয়নি আজও। নজরুল সমস্ত বাঙালির লেখক হলেও একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, তিনি ছিলেন বাঙালি মুসলমানের সত্যিকার প্রতিনিধি। বাঙালি বলতে যদি মুখ্যত হিন্দু ও মুসলমানকে বুঝায়, তাহলে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল হলেন এই দু’ জাতির শ্রেষ্ঠ ফসল।
সাহিত্যে ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আলো-বাতাসের মতো অনিবার্য কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা কখনোই স্বীকৃত নয়। সাম্প্রদায়িকতা হলো তাই, যা নিজের সীমানা অতিক্রম করে আক্রান্ত করে অন্যের বিশ্বাস ও অধিকারকে। স্বদেশ ও স্বজাতির মহিমাকীর্তন করে অমর হয়েছেন বিশ্বের কবিরা। মহাকবি স্পেনসার ফেয়ারি কুইন রচনা করে যেমন মহিমান্বিত করেছেন ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথকে, তেমনি গৌরবান্বিত করেছেন খ্রীস্টীয় আদর্শকে। সাহিত্যে এসব নিষিদ্ধ নয়। মহাকবি বাল্মিকী রামের জীবনকাহিনী রামায়ন রচনা করে মনোরঞ্জন করেছেন কেবল ভারতীয়দের নয়, বিশ্বপাঠকদেরও। মাওলানা জালালউদ্দিন রুমী মসনবি রচনা করে হয়েছেন সমগ্র পৃথিবীর সর্বাধিক জনপ্রিয় কবি। সাহিত্য মূলত নিজের ঘরের কাহিনী। কুলসুম অমর হয়েছেন আরবি গান গেয়ে, মাইকেল জ্যাকসন ইংরেজি গান ও আব্বাস উদ্দীন বাংলা গান গেয়ে। কোকিল কখনো নাইটিঙ্গেলের মতো গান গায় না, নাইটিঙ্গেলও কখনো গায় না কোকিলের মতো। তাওফিক আল হাকিম কখনো জর্জ বার্নাড শ’র মতো লিখতে পারেন না, তেমনি জর্জ বার্নার্ড শও কখনো তাওফিক আল হাকিমের মতো না। কিন্তু বাঙালি মুসলমান লেখকরা কেন নিজেদের স্বকীয়তা ভুলে অন্যদের মতো লিখতে গেল, সেটাই প্রশ্ন।
নজরুল-উত্তর বাঙালি মুসলমান কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে মেরুদন্ড টানটান করে রাখার প্রবণতা লক্ষ করা যায় চল্লিশের দশক পর্যন্ত। পঞ্চাশের দশক থেকেই মূলত শুরু হয় মেরুদন্ডহীনতার কাল। ভারত-পাকিস্তান আলাদা হয়ে যাওয়ার পর কোলকাতায় অবস্থানকারী পূর্ব-বাংলার লেখকরা থিতু হন এসে ঢাকায়। এসব কবি-সাহিত্যিকের একটা বিরাট অংশ ছিল ব্রাহ্মণ্যবাদ ও কোলকাতাকেন্দ্রিক হিন্দু-বুদ্ধিজীবীদের চিন্তাচেতনার ছায়ায় বেড়ে ওঠা। হিন্দুদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে এদেশে এসে থিতু হলেও এদের মন ও মগজে থেকে যায় পুরনো সেই হীনমন্যতা। তারা কখনোই এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে জীবনে ধারণ করে নির্মাণ করতে পারেননি কোনো মৌলিক সাহিত্য। ঢাকায় বসবাস করে তারা রচনা করতে থাকেন কোলকাতার সাহিত্য এবং শকুনের মতো তাকিয়ে থাকেন কোলকাতার স্বীকৃতির জন্য। এঁদের স্বপ্নের দৌড় ছিলো আনন্দবাজার গোষ্ঠির দেশ পত্রিকা। এখানে একটা গল্প কি কবিতা ছাপা হলেই এঁরা জীবদ্দশায় স্বর্গপ্রাপ্তি হয়েছে বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দিতেন।
প্রগতিশীলতার নামে কিছু লেখককে দেখি ওপারের সংস্কৃতিকে এদেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে। তাঁরা বিশেষ বিশেষ শব্দকে শাশ্বতরূপে ব্যবহার করার প্রয়াস চালান, যা এদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি কখনো। আপনি মীর মশাররফ হোসেনের মতো হাজারবার ঈশ্বর শব্দ প্রয়োগ করলেও এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে দিয়ে তা বলাতে পারবেন না, তাঁরা স্বতঃস্ফ‚র্তাবে বলে ফেলবে ‘আল্লাহ’। আল্লাহ শব্দটি বাংলা ভাষাতে কখনোই অস্পৃশ্য ছিলো না; নজরুল আল্লাহ শব্দটি নানা রূপে ও নানা ভঙ্গিতে এত আধুনিকরূপে ব্যবহার করে গেছেন তাঁর সাহিত্যে যে, মোহিতলাল মজুমদারের মতো বোদ্ধা সাহিত্য-সমালোচকেরা পর্যন্ত তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। বাংলা-আরবি শব্দের কি-অপূর্ব প্রয়োগ নজরুলের কবিতায়- ‘কান্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা,/ দাঁড়ি-মুখে সারিগান-লা-শরীক আল্লাহ!’ বাংলা ভাষার যে একটা মুসলমানী ঢঙ আছে, সাহিত্যে তা প্রতিষ্ঠিত করে যান নজরুল। পরবর্তী প্রজন্মের মুসলিম-কবিসাহিত্যিকদের এ ব্যাপারে দ্বিধাদ্ব›েদ্ব ভোগার কথা ছিলো না। কেন যে তাঁরা কোকিল থেকে কাক সাজতে গেল, সেটাই বড় আশ্চর্যের কথা।
নজরুল-উত্তর কিছু মেরুদন্ডহীন লেখকের প্রকৃত সাহিত্যের চেয়ে আরোপিত সাহিত্য রচনার দিকেই প্রবণতা লক্ষ করা যায়। কিছু কিছু লেখকের ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে কঠোরতম অবস্থান নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, তাঁদের সমস্ত জীবনই গেছে ওই ধরনের সাহিত্য রচনা করে, যা পাঠ করলে মনে হয় গোটা বাংলাদেশই বোধহয় ধর্মীয় গোড়ামিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল একসময়। অথচ কতিপয় বিশেষ বিশেষ স্থানে ছাড়া এদেশে লালসালুর অস্তিত্ব তেমন নেই বললেই চলে। ‘শস্যের চেয়ে আগাছা বেশি, ধর্মের চেয়ে টুপি বেশি’ বলে যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ শুরু করেছিলেন, তাঁর কণ্ঠ শুনে মনে হতে পারে ইনি বোধহয় হিন্দুসমাজের সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো মুসলিম-সমাজের সংস্কারক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, সব ধরনের পূজা থেকে বাঙালি-মুসলমানকে মুক্ত করে সহি-ইসলাম ও সভ্যতার দিকে তাদেরকে আহবান জানাচ্ছেন, বিষয়টা আদৌ সেরকম কিন্তু নয়; তাঁর কোনো সাহিত্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি-মুসলমানের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি কোনো ধরনের সহমর্মিতা ও একাত্মতা পরিলক্ষিত হয় না। কাজী ইমদাদুল হক আব্দুল্লাহ উপন্যাসের মাধ্যমে সংস্কারের যে-মহৎ কাজটি করতে চেয়েছেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ-য় তা একেবারে অনুপস্থিত। কারণ এঁদের একজন ছিলেন খাঁটি বাঙালি-মুসলমান লেখক, অন্যজন এদেশে জন্মগ্রহণ করেও ইউরোপের খ্রিস্টানসভ্যতার মানসসন্তান। টি এস এলিয়ট ও ডাব্লিউ বি ইয়েটসরা যখন নিজেদের কৃষ্টিকালচারকে আঁকড়ে ধরে আধুনিক হওয়ার চেষ্টা করেছেন তখন এরা লিপ্ত থেকেছেন বাঙালি-মুসলমানের কৃষ্টি-কালচারকে ধূলিসাৎ করার কাজে। এটাই হলো ইউরোপিয়ান আধুনিক লেখক ও তথাকথিত বাঙালি-মুসলমান আধুনিক লেখকদের মধ্যে পার্থক্য।
আধুনিকতা ও বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে যাদের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই, আধুনিক আধুনিক বলে তাঁরাই এদেশে চিৎকার করেন বেশি। এসব তথাকথিত আধুনিক মুসলমান লেখক বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ ও বুদ্ধদেব বসুর সাহিত্যের মধ্যেই ঘুরপাক খেয়েছেন সারা জীবন; অতঃপর হারিয়ে ফেলেছেন খেই। এঁদের অনেককেই দেখা যায় টি এস এলিয়টকেও আধুনিকতার গুরুদেব মানতে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে এঁরা এলিয়টের ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ কবিতা পড়েছেন বলে মনে হয় না। কবিতাটি থেকে আমি তিনটি উদ্ধৃতি তুলে ধরতে চাই। কবিতার এক স্থানে বলা হয়েছে-
I do not find
The Hanged Man. Fear death by water.
এখানে ‘দ্য হ্যাঙ্গড ম্যান’ বলতে বুঝানো হয়েছে ঊর্বরতার দেবতাকে, যিনি আত্ম-বিসর্জন দিয়েছিলেন জমিন ও মানুষের জন্য ঊর্বরতা নিয়ে পুনরুত্থিত হওয়ার জন্য। আরেক স্থানে স্পিকার বলেন-
Gentile or Jew
O you who turn the wheel and look to windward,
Consider Phlebas, who was once handsome and tall as you.
তিনি মূলত এখানে স্মরণ করিয়ে দেন ইহুদি-অইহুদি সবাইকে তাদের অনিবার্য পরিণতির কথা, যা ঘটেছিল সুদর্শন দীর্ঘকায় ফ্লেবাসের জীবনে, পানিতে নিমজ্জিত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তার। কবি এখানে স্মরণ করিয়ে দিতে চান পানির দ্বিমুখী চারিত্রের কথা- পানি যেমন জীবনকে রক্ষা করে তেমনি মৃত্যুও ঘটায়। এলিয়ট কবিতাটি শেষ করেছেন এ-দুটি চরণ দিয়ে-
Datta. Dayadhvam. Damyata.
Shantih shantih shantih
কবি এখানে প্রত্যাবর্তন করেছেন উপনিষদের কাছে কারণ ঝন্ঝা-বিক্ষুব্ধ এ-পৃথিবীর আজ যা প্রয়োজন, তা হলো শান্তি। এসব ধর্মীয় বিষয়-আশয় কিন্তু ‘দ্যা ওয়েস্ট ল্যান্ড’ কবিতায় স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং সমালোচকেরা একে নিন্দার চোখে দেখেননি; কিন্তু এদেশের একশ্রেণির বিভ্রান্ত ও অল্পবিদ্বান বুদ্ধিজীবীরা খড়গহস্ত হয়েছেন ফররুখ আহমদের মতো কবিদের উপর ‘হেরার রাজতোরণ’, আল্লাহ, রসুল প্রভৃতি শব্দ প্রয়োগের কারণে। এঁরা যদি এলিয়টের ‘ট্রাডিশন এন্ড দি ইনডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট’ প্রবন্ধটাও পাঠ করতেন, তাহলেও হয়তো এঁদের এ বোধোদয়টুকু অন্তত হতো যে, সাহিত্য হচ্ছে একটি ধারাবাহিকতার সমষ্টি, যা অতীত ও বর্তমানের মেলবন্ধন ঘটিয়ে শাশ^ত জীবনকে তুলে ধরতে চায় পাঠকের সামনে। আজকের যে আধুনিক, আগামীকাল সে পুরাতন; কিন্তু সাহিত্যের এই পুরাতন কখনো অকেজো হয়ে যায় না, তার আবেদন রীতিমত বহাল থাকে কাল থেকে কালান্তরে।
সাহিত্যের মূল কাজই হলো মানুষ ও তার সমাজকে নিখুঁত রূপে উপস্থাপন করা, যার মধ্যে থাকবে মানবজীবনের আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ, সঙ্গতি ও অসঙ্গতির বিচিত্র সমাবেশ। আমরা যখন চার্লট ব্রন্টির জেন আয়ার উপন্যাসটি পড়ি, তখন সেখানে দেখতে পাই ভিক্টোরিয়ান যুগের খ্রিস্টান সমাজে নারীদের করুণ দুর্দশার চিত্র, যেটা লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন এতিম শিশু জেনের চরিত্র চিত্রায়নের মধ্য দিয়ে। আমরা যখন হথর্নের দ্য স্কারলেট লেটার উপন্যাসটি পড়ি তখন দেখতে পাই লেখক এখানে হেস্টার প্রিন ও আর্থার ডিমেসড্যাল চরিত্রের মধ্য দিয়ে কী-দরদের সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন খ্রিস্টান ধর্মীয় বিশ্বাস ও আত্মিক দ্বন্দ্বেদ্বর চিত্র। জন মিলিংটন শিং তাঁর রাইডার্স টু দ্য সি একাংকিকায় মারিয়া চরিত্রের মধ্য দিয়ে আয়ারল্যান্ডের একটি খ্রিস্টান জেলে-পরিবারের এমন করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন দর্শকের সামনে যে, মারিয়ার দুঃখে দর্শকেরও দু’চোখ ভিজে যায়, সে কোন্ দেশের, কোন্ ভাষার, কোন্ ধর্মের তাতে কিছু আসে যায় না। বিভূতিভ‚ষণ তাঁর ‘পথের পাচালী’ উপন্যাসে চিত্রিত করেছেন একটি গরিব হিন্দু-পরিবারের করুণ দুর্দশার চিত্র, যা দলিত মথিত করে যশ্বেপাঠকের হৃদয়। সাহিত্যের কাজ তো এটাই। সাহিত্য তো ঘরের কথাই শোনাতে চায় পাঠকদের। প্রকৃত লেখকরা তাই কখনো অন্যের কাহিনী লেখেন না, নিজের আনন্দ-বেদনার কাহিনী লিখে তাঁরা জায়গা করে নেন পাঠকের অন্তরে। বাঙালি-মুসলমান লেখক এ-সত্য অনুধাবন করতে পারবে যেদিন, সেদিনই তাঁর সাহিত্য হবে সৎ-সাহিত্য, খাঁটি সাহিত্য।
লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।