পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন এবং বিশেষ সংবাদদাতা সাঈদ আহমেদের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব প্রতিবাদ জানানো হয়।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের উদ্বেগ
ইনকিলাব সম্পাদক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেÑ ‘ ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম’ (এলআরএফ)। সংগঠনের দফতর সম্পাদক এসএম নূর মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম’র সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা সাঈদ আহমেদ খানের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়েরের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে সংগঠনের (এলআরএফ) সভাপতি আশুতোষ সরকার ও সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা।
বিবৃতিতে বলা হয়, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রকাশ করা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। কোনো সংবাদে তথ্যগত অসঙ্গতি থাকলে তার প্রতিবাদ করার নিয়মতান্ত্রিক পন্থা রয়েছে। তা না করে ২ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়েরের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি। ওই মামলায় কাউকে কোনো রকম হয়রানি না করে এলআরএফ অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
র্যাক’র উদ্বেগ ও নিন্দা :
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ভিত্তিক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স এগেনস্ট করাপশন’ (র্যাক)’র সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক তাওহীদ সৌরভসহ সংগঠন নেতৃবৃন্দ যুক্ত বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ, মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। লেখনির মাধ্যমে দুর্নীতিবাজের মুখোশ উন্মোচনের হুঁশিয়ারি দিয়ে র্যাক নেতৃবৃন্দ বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করায় রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)-এর সিনিয়র সদস্য ও দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি সাঈদ আহমেদ’র বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ মনে করেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতেই এ ধরনের মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, অন্যথায় রাজপথে সরব আন্দোলন ও লেখনির মাধ্যমে দুর্নীতির মুখোশ উন্মোচন করা হবে। সংগঠনের দফতর সম্পাদক তাসলিমুল আলম তৌহিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওল্ড ঢাকা জার্নালিস্ট ফোরাম’র বৃহৎ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি :
ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন এবং বিশেষ প্রতিবেদক সাঈদ আহমেদেও বিরুদ্ধে নোমানা গ্রুপের দায়ের করা মিথ্যা মানহানি মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘ওল্ড ঢাকা জার্নালিস্ট ফোরাম’। গতকাল রোববার সংগঠনের সভাপতি মো: সালাহউদ্দিন মিঠু এবং মহাসচিব, দি ফিন্যান্স টুডে’র সম্পাদক মো: মতিউর রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান। অবিলম্বে মিথ্যা মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, নোমান গ্রুপভুক্ত ৩০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামমাত্র কো-লেটারাল দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। মামলা প্রত্যাহার করা না হলে প্রতিষ্ঠানের লুটেরা মালিকের রাজস্ব ফাঁকিসহ নানাবিধ আর্থিক কেলেঙ্ককারির সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে। একই সঙ্গে বৃহৎ কর্মসূচির দিকেও যাবে।
প্রসঙ্গত : গত ৩১ অক্টোবর ‘ঋণের নামে হাতিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। আরেক হলমার্ক নোমান গ্রুপ। একই সম্পত্তির একাধিক দলিল’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইনকিলাব। এ সংবাদ প্রকাশ করায় ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন ও বিশেষ প্রতিবেদক সাঈদ আহমেদের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা করে নোমান গ্রুপ। গত ২৩ নভেম্বর দায়েরকৃত মামলায় সমন জারি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।