প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সালমান খানের পর এবার কামাল রশিদ খান ওরফে কেআরকে-র নিশানায় গায়ক মিকা সিং। স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক কামাল রশিদ খান দিন কয়েক ধরেই রয়েছেন সংবাদ শিরোনামে। সালমান খান চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কেআরকের নামে মানহানির মামলা ঠুকেছেন। সালমানের ঘনিষ্ঠ মিকা সিং, গোটা মামলায় প্রকাশ্যে সালমানের হয়ে ব্যাট ধরেন।
সম্প্রতি কেআরকে-কে প্রকাশ্যে ‘গাধা’ এবং ‘ইঁদুর’ বলে কটাক্ষ করেন মিকা। পালটা তোপ দেগে মিকাকে ‘নগণ্য গায়ক’ বললেন কেআরকে।
মিকা সিং-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেআরকে ও সালমান খান বিতর্ক নিয়ে। জবাবে পাঞ্জাবি গায়ক সাফ জানান, ‘আমার তো ভাবতে অবাক লাগছে, যে সালমান ভাইয়ের এত সময় লাগত ওর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকতে। ওর মতো গাধাকে যত দ্রুত সম্ভব বশে আনা উচিত। সবসময় ব্যক্তিগত আক্রমণ করে ও, যেটা এক্কেবারে ভুল’।
কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই পালটা জবাব দিলেন কেআরকে। মিকার নাম না করেই এই ‘দেশদ্রোহী’ অভিনেতা বলেন, ‘এবার একজন নগণ্য গায়ক সামান্য পাবলিসিটির জন্য এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলছে। কিন্তু আমি ওকে জনপ্রিয়তা দেব না। যত লাফালাফি করবার আছে সোনা তুই কর, কিন্তু আমি একদম পাত্তা দেব না! কারণ তোর অওকাত (যোগ্যতা) নেই’।
কেআরকে নিজেই দাবি করেছিলেন রাধে ছবিকে তুলোধুনা করে ভিডিও পোস্ট করবার জেরেই নাকি সালমান খান তাঁর উপর গোসা করে মানহানির মামলা ঠুকেছেন। যদিও সালমানের লিগ্যাল টিম স্পষ্ট করেছে, কেআরকের নামে এই মামলা করা হয়েছে, কারণ কেআরকে একাধিকবার সালমান খানের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন এবং তাঁকে ভুয়া এবং দুর্নীতিপরায়ণ বলে কটাক্ষ করেছেন। এর সঙ্গে রাধে-র ফিল্ম সমালোচনার যোগ টানা অনুচিত। আইনজীবীরা দাবি করেন, কেআরকে আরও বলেছেন সালমান এবং ওনার ব্র্যান্ড বিইং হিউম্যান আর্থিক তছরুপ,জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। এবং সালমান ও তাঁর প্রযোজনা সংস্থা সালমান খান ফিল্মস 'ডাকাত'।
গত বৃহস্পতিবারই আদালতকে দেওয়া জবানবন্দিতে কেআরকে জানিয়েছেন পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সালমানের নামে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করবেন না তিনি। বিতর্কের জল ইতিমধ্যেই আদালত পর্যন্ত গড়ালেও সালমানের কাছে মাথা নোয়াতে না-রাজ কেআরকে।
তিনি দাবি করেন, 'ভাইজান'-এর সঙ্গে এই লড়াইয়ে ২০ জন নামি বলি-ব্যক্তিত্বেরও সমর্থন পেয়েছেন এবং কোনও মূল্যেই সালমানের কাছে ক্ষমা চাইবেন না তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।