পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৯ মামলার আসামি, এর মধ্যে তিনটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার পরেও বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন মাইনুল ইসলাম ওরফে কাজল ভূইয়া (৪৭)। এর পর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গতকাল তাকে জাফলং সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গতকাল সোমবার সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির ডিআইজি (চট্টগ্রাম জোন) হাবিবুর রহমান।
অন্যদিকে পুলিশের সাইবার ইনভেস্টিগেশন এন্ড অপারেশন বিভাগের তদন্তের ভিত্তিতে জানা যায়, গাড়ি চুরি করতে চালক নিয়োগ দেয় চোরাই চক্রের সদস্যরা। এরপর চুরি করা গাড়ি কখনও বিক্রি করে, কখনও মালিকের কাছে ফেরত দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। এমনই একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ। চক্রটি পেশাদার চালকদের গাড়ি চুরির জন্য প্রলুব্ধ করে এবং লোভনীয় প্রস্তাব দেয়। সোমবার দুপুরে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাইবার পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঢাকার ডেমরা এলাকায় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে মিনি ট্রাক বা পিকআপ ভ্যান চুরি করে আসছিল। এ চক্রের সদস্যরা এতোটায় চতুর যে, সহজে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তারা বিভিন্ন সময়ে গাড়ি চুরি করার জন্য ওৎপেতে বসে থাকত। কোনো চালক গাড়ি রেখে হোটেলে খেতে ঢুকলেই তারা মাস্টার কি ব্যবহার করে ইঞ্জিন চালু করে গাড়িটি নিয়ে চলে যেত। প্রাথমিকভাবে চক্রটির সদস্যদের শনাক্ত করা হয়। পরে ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার ডেমরা ও কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৪ সদস্য সোহেল (২৭), রুবেল (৩০), মনির হোসেন (৪০) ও আজিজুলকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তিনটি পিকআপ উদ্ধার করে সিআইডি।
সিআইডির এই কর্মকর্তা আরো বলেন, চক্রটি গাড়ি চালকদের চুরির জন্য মোটিভেশন করে, এরপর তাদের লোভনীয় অফার দেয়। চালকদের সঙ্গে মিশে চক্রটি পিকআপ ভ্যান চুরি করে। এরপর গাড়িতে রাখা ডকুমেন্ট থেকে মালিকের মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করে বিকাশে টাকা দাবি করত। বিকাশে তাদেরকে টাকা পাঠালে গাড়ি ফেরত দিত। অনেক সময় টাকা নিয়ে গাড়ি ফেরত না দিয়ে আরও টাকা দাবি করত। পরবর্তীতে চক্রটি গাড়িগুলোকে তাদের নিজেদের গ্যারেজে নিয়ে বিভিন্ন অংশ খুলে বা পরিবর্তন করে রেখে দিত। ফলে মূল মালিক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের গাড়ি শনাক্ত করতে পারতেন না। অনেক সময় তারা চুরি করা গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে অন্যত্র বিক্রি করত বলেও জানান অতিরিক্ত ডিআইজি।
সিআইডি জানায়, চক্রটি করোনাকালীন সময়ে ১৫-২০টি গাড়ি চুরি করেছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি চোরাই পিকআপ ভ্যান, ৯টি মোবাইল ফোন, ১৪টি সিম কার্ড, একটি মাস্টার চাবি, প্লায়ার্স, স্টিল রেঞ্জ, র্যাত, হেক্সো ব্লেড উদ্ধার করা হয়। চোরচক্রের সদস্যরা তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে সিআইডি জানিয়েছে।
সিআইডির ডিআইজি (চট্টগ্রাম জোন) হাবিবুর রহমান বলেন, কাজল ভূইয়া গত ১৩ মে আখাউড়াতে তার নিজ বাড়িতে স্ত্রী ডলি বেগমকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ডলি মারা যাবার পর কাজল ভূইয়া আত্মগোপনে চলে যায়। এই ঘটনায় নিহত ডলির ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সদর দফতর সিআইডি একযোগে তদন্ত শুরু করে। ২৪ মে কাজলকে বাংলাদেশ-ভারত জাফলং সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
হত্যার কারণ সম্পর্কে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, কাজল ভুইয়ার সঙ্গে তার স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। হত্যাকাণ্ডের ওই দিন রাত ৩টার দিকে সে বাড়িতে আসে। তার সঙ্গে স্ত্রীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল থেকে বোতলে করে পেট্রল এনে স্ত্রীর গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তার স্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে ১৮ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সামাজিক অবক্ষয় ও পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কাজল একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মাদক মামলাসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। আখাউড়া থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।