পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর শহরের রেলরোডে ফুড গোডাউনের বিপরীতে অবস্থিত বেসরকারি যশোর মাদক নিরাময় ও পুর্নবাসন কেন্দ্রে মাহাফুজুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারিসহ ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ইন্সপেক্টর জানান, প্রাথমিক তদন্তে কেন্দ্রের পরিচালকসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। ভিডিও ফুটেছে কয়েকজন মিলে কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন যুবককে বেম প্রহারের চিত্র দেখা গেছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার মাহাফুজুর রহমানের পিতা চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার নারায়নপুর মোড়ের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে গত রোববার দুপুরে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের পরচিালক মাসুদ করিম ও আশরাফুল কবিরসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে মাসুদ করিম, বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল কবির, চৌগাছা উপজেলার বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে রিয়াদ, ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সাবদার রহমানের ছেলে শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে আরিফুজ্জামান, শহরের কাজীপাড়া মসজিদের পাশের বাসিন্দা কামরুজ্জামানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান, মনিহার নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ মিয়াজীর ছেলে রেজাউল করিম রানা, আরবপুর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে অহিদুল ইসলাম, হুসতলা বকচর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আল শাহরিয়ার রোকন, বেনাপোল পোর্ট থানার শাখারীপোতা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন, অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের আসর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার এস এম জি মুক্তাদিরের ছেলে এস এস সাগর আজিজ, শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে নুর ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বামখালী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে সাগর।
নিহতের পিতা মনিরুজ্জামান মামলায় উল্লেখ করেন, তার ছেলে মাহাফুজুর রহমান মাদকাসক্ত হওয়ায় ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেন। তারপর হইতে বাদীর ছেলে সেখানেই ছিলেন। ২২ মে দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক মাসুদ করিম তাকে ফোনে জানান মাহফুজ অসুস্থ্য তিনি যেন দ্রুত যশোর আসেন।
এখবর শুনে মনিরুজ্জামানসহ তার এলাকার সাইদুর রহমান ও আক্তার হোসেন যশোরের উদ্যেশ্যে রওনা হন। কিছু সময় পর পথিমধ্যে পরিচালক তাকে মোবাইল করে আবারো জানান, তিনি যেন শক্ত হন তার ছেলে মারা গেছেন। লাশ যশোর সদর হাসপাতালে রয়েছে। বাদী মনিরুজ্জামান বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এসে ছেলে মাহফুজুর রহমান লাশ দেখতে পান। ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে বাদীর সন্দেহ হওয়ায় ছেলের শরীরে ভালভাবে পরীক্ষা করে মাহফুজুরের শরীরের ডান হাতের কবজির উপর কামড়ানো দাগ, পিঠের ডান ও বাম পাশে কালচে থেথলানো দাগ, বাম কাঁধের উপরে থেতলোনো দাগসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও অন্ডকোষ ফোলা দেখতে পান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।