মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বর্ডার থেকে শুরু করে পুরো অঞ্চলে ইঁদুর ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে আসছে। লাখ লাখ ইঁদুরের আক্রমণে ফসলি জমি ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে ফসল ও যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় লাখ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে। ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দেশটির মানুষ। এ অবস্থায় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে ইঁদুর নিধন করতে বিষ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস এবং কুইন্সল্যান্ডে সম্প্রতি ইঁদুরের বংশবিস্তার হয়েছে আতঙ্কজনক হারে। শুধু যে মানুষের ঘরে এদের দেখা যাচ্ছে তা নয়, শপিং মল, সিনেমা হল, দোকানপাট, রাস্তাঘাট- সর্বত্রই চোখে পড়ছে ইঁদুর। এমনকি পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও ইঁদুর দেখা যাচ্ছে। ফলে এখন দিন নেই রাত নেই, ইঁদুর ধরার কাজে মন দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ানরা। রীতিমতো ভিডিও করে তাঁরা ইঁদুরের গতিবিধি নজরে রাখছেন, সূত্রে উঠে এসেছে এমন খবরও!
জানা যায়, প্রতি চার বছর অন্তর অস্ট্রেলিয়া না কি ইঁদুরের উৎপাতের মুখে পড়ে। ১৯৯৩ সালে ইঁদুরের উৎপাতে অস্ট্রেলিয়ায় শস্যের ক্ষতি হয়েছিল রেকর্ড পরিমাণ, সেই বছরে নষ্ট হয়েছিল ৯৬ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার মূল্যের ফসল!
শুধু যে এই ইঁদুরগুলো ফসলের ক্ষতি করেই ক্ষান্ত থাকছে না, এমনটা কিন্তু নয়। একই সঙ্গে এদের আক্রমণের মুখে পড়ছে গবাদি পশুগুলো। নানা খামারে গবাদি পশুর শরীরে ইঁদুরের কামড়ের দাগ দেখা যাচ্ছে, অনেক পশুর সারা শরীর হয়ে উঠে ক্ষত-বিক্ষত। ফলে, তাদের মেরে ফেলা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকছে না। এই দিক থেকে দেখলে ইঁদুরের আক্রমণে দেশের প্রাণীসম্পদও এসে দাঁড়িয়েছে লোকসানের মুখে।
একই সঙ্গে ইঁদুরের আক্রমণে রবার এবং বিদ্যুতের কারখানারও ক্ষতি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ক্ষতি হচ্ছে যানবাহনেরও। এরা সহজেই নানা তার কেটে দিয়ে পরিষেবা ব্যাহত করার মতো পরিবেশ তৈরি করে তুলছে।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ছে। বনভূমিতে দাবানলের ঘটনায় সেখান থেকে ইঁদুর পালিয়ে লোকালয়ে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া সম্প্রতি নিউ সাউথ ওয়েলসে বন্যা হয়েছে, সে কারণেও মাঠঘাট ছেড়ে ইঁদুরেরা মানুষের বসতিতে আশ্রয় নিয়েছে বলে মনে করছেন পশুবিদরা। ২০২০ সালে একবার এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় বন্যা আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সরকার। তার পর থেকে কেবলই বেড়ে চলেছে অস্ট্রেলিয়ায় ইঁদুরের সংখ্যা।
এদিকে দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার আরও শক্ত কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, তারা পাঁচ হাজার লিটার ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ইঁদুর মারার কেমিক্যাল’ মজুদ করেছে। এই কেমিক্যালের একটি ডোজেই ইঁদুরের মৃত্যু হবে।
সরকারের এই পদক্ষেপে যে সবাই খুশি তেমন কিন্তু নয়। অনেকে বিষ প্রয়োগে ইঁদুর নিধনের বিরোধিতা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, খাদ্যশস্য বাঁচাতে এই কেমিক্যাল দিয়ে ইঁদুর মারতে গেলে অন্য প্রাণীও হুমকিতে পড়তে পারে। সূত্র: সিএনএন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।