প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
আজকাল একাই থাকছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী নীতু কাপুর। কেন ছেলে রণবীর কিংবা মেয়ে ঋদ্ধিমার সঙ্গে থাকছেন না তিনি? সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের জবাব নিজেই দিলেন তিনি। নীতু জানিয়েছেন এক থাকাটা তাঁর কাছে যেমন পছন্দের তেমন জরুরি। নিজের 'প্রাইভেট স্পেস' বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন তিনি। মজা করে এ ব্যাপারে অভিনেত্রীর বক্তব্য,' ওঁদের দুজনকেই বলেছি তোরা আমার মন জুড়ে থাক,মাথায় চাপিস না!' তাছাড়া তিনি ভীষণভাবে চান তাঁর দুই সন্তান রণবীর ও ঋদ্ধিমা নিজের জগতে ব্যস্ত থাকুক। এ প্রসঙ্গে নীতু বলেছেন,' আমি ভীষণভাবে চাই ওরা নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। যেমন গতবছর করোনার ফলে লকডাউনের সময়ে প্রায় গোটা একটা বছর ঋদ্ধিমা আমার সঙ্গে ছিল। ও ওঁর স্বামী,সন্তানদের কাছে যেতে পারছে না দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়তাম আমি। অস্থির লাগতো খুব। অথচ ঋদ্ধিমা কিন্তু দিব্যি সামলে নিয়েছিল। তাই শেষপর্যন্ত একপ্রকার জোর করে ঠেলেই ওঁকে পাঠিয়ে দিয়েছি আমি। আমার এক থাকতে কোনও অসুবিধে হয় না। এভাবেই থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।' এখানেই না থেমে গড়গড় করে তিনি বলে চলেন বহু বছর আগে তাঁর বড় মেয়ে ঋদ্ধিমা যখন পড়াশোনার কারণে লন্ডন উড়ে গেছিল,একচোট কেঁদেছিলেন তিনি। এমনকি ঋদ্ধিমার সঙ্গে দেখা করতে আসা তাঁর বন্ধু-বান্ধবীরা হঠাৎ হঠাৎ করেই যখন ঋদ্ধিমার খোঁজে তাঁদের বাড়িতে চলে আসতো তখন তাঁদের দেখেও আড়ালে চোখের জল ফেলতেন তিনি। তবে ধীরে ধীরে মনকে শান্ত করে উঠতে পেরেছিলেন নীতু। শক্ত হয়েছিলেন। মানিয়ে নিয়েছিলেন পরিস্থিতির সঙ্গে। তাই এর কয়েক বছর যখন রণবীর বিদেশে উড়ে যাচ্ছিলেন তার আগে এক ফোঁটাও চোখের জল ফেলেননি 'ঋষি-পত্নী'. তা দেখে রণবীরের মনে হয়েছিল তাঁর মা তাঁকে হয়তো তে,মন ভালোবাসেও না। সে কথা নীতুকে সরাসরি বলেও ফেলেছিলেন রণবীর। তখন নীতু তরুণ রণবীরকে বুঝিয়েছিলেন এরকম ভাবার মোটেই কারণ নেই। আসলে, ঋদ্ধিমা বিদেশে চলে যাওয়ার পর যে রণবীরের যাওয়ার পালা সেকথা নীতু জানতেন ,তাই ভিতরে ভিতরে নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করেছিলেন সেভাবে। তাই সে প্রসঙ্গ টেনে নীতু বলেন, ' সেইসব অভিজ্ঞতা আমাকে শক্ত করেছে। নিজের ওপর ভরসা জুগিয়েছে। বুঝতে শিখিয়েছে নিজের সন্তানদের কাছ থেকে দূরে থেকেও আমি বাঁচতে পারবো। তাই তো ওঁদের আমি আজকাল বলি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখো কিন্তু রোজ দেখা করতে আসতে হবে না। তোমরাদেরও তো নিজস্ব সংসার,জীবন রয়েছে। বরং সেসব মন দিয়ে সামলাও!' তিনি যে নিজের মতো এই একা জীবনযাপনই দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেকথাও অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।