গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক। রোববার ভোর সোয়া ছয়টায় ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পী। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।
গুনী এই শিল্পীর মৃত্যুতে ইতোমধ্যেই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেটিজেনরা শোক জানানোর পাশাপাশি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ তার ফেইসবুক পেইজে লিখেন, “আহা! অমন পরিশীলিত সুরেলা কন্ঠের দেখা মেলা ভার।আর মিলবে কিনা জানিনা। জীবন ও শিল্পের এমন শুদ্ধতম মিলন কালে ভদ্রে ঘটে। আনন্দের মাঝেই জীবন উথলিয়া ওঠে একথা মিতাকে দেখলেই মনে হতো। দু:খকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে জীবনের আনন্দে শিশুর মত করতালি দিতো। এইতো মাত্র সাতদিন আগে হাসপাতাল থেকে ফোনে চিৎকার করে বলে- বাচ্চুভাই, আমারতো এইখানে ভাল্লাগেনা, ভাল্লাগেনা, ভাল্লাগেনা। আমারে বাসায় নিয়ে যায়না কেন! । তার দু'তিনদিন পর কন্যা জয়ীতা ও সন্তানসম শাহীন ওদের করোনামুক্ত মাকে কেরাণীগঞ্জের বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু পরশু হঠৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারো হাসপাতাল।আর আজ প্রত্যুষে আমার কন্যা এশা ও পুত্রবৎ সাকি হাসপাতাল থেকে ফিরে জানালো ‘মিতামা’ মারা গেছে। আমি নির্বাক।নিস্তব্ধতায় নিমজ্জিত হই। ভাবি মিতার মত জীবনকে ভালেবাসতে আমি কাউকে দেখিনি। এমনভাবে কাউকে জীবন উদযাপন করতে দেখিনি। শত কষ্ট-দু:খের মাঝে কলকলিয়ে এভাবে হাসতেও দেখিনি কাউকে............চোখের জলে চৈত্রের ভোরের আকাশটাকে ধূসর দেখতে থাকি।ভাবি ঐ ধূসরে মিলিয়ে গেলে মানুষ আর কখনো ফিরে আসেনা..... ‘তুমি কেমন করে গাণ করো হে গুণী... আমি অবাক হয়ে শুনি কেবল শুনি.....’ বিদায় প্রিয় মিতা হক।”
জনপ্রিয় চিরকুট ব্যান্ড তাদের অফিসিয়াল পেইজে লিখেন, ‘রবীন্দ্র সঙ্গীতের কিংবদন্তী শিল্পী শ্রদ্ধেয় মিতা হক-এর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশের সঙ্গীতে এ নি:সন্দেহে এক অপূরণীয় ক্ষতি। কয়েক যুগ ধরে তাঁর সুদক্ষ গানে অনুপ্রাণিত হয়েছে লক্ষ-হাজারো কন্ঠযোদ্ধা। আমরা এই গুণী শিল্পীর প্রয়াণে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা!’
চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার লিখেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হক চলে গেলেন। শ্রদ্ধা রইলো।’
সতেন্দ্র চন্দ্র দাস লিখে, ‘যার গান শুনে সর্বদা মুগ্ধ হয়েছি, যার গান শুনে গান গাওয়ার চেষ্টা করতাম, উনি আজ আর নেই; বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
শাহনাজ পারভীন লিখেন, ‘মিতা হক অসময়ে চলে গেলেন। উনার গান আমি খুব শুনি। খুব কষ্ট পেলাম। ভাল থাকুন মিতা হক।’
শহিদুল সরকার লিখেন, ‘প্রিয় শিল্পী চলে গেলেন। ওপারে ভালো থাক- এই কামনা করি।’
নাসরিন নিপা লিখেন, ‘একজন সজ্জন গুণীজন হারালো বাংলাদেশ। মাগফিরাত কামনা করি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।