প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ধারাবাহিক এবং সিনেমাতে দুর্দান্ত অভিনয় করার জন্য তিনি সকলের কাছেই জনপ্রিয় শ্বেতা তিওয়ারি। তবে রুপোলি পর্দায় তাকে যতই হাসিখুশি দেখাক না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে খুশি ছিলেন না তিনি। জীবনে প্রথম বিয়ের অভিজ্ঞতা একেবারে সুখকর ছিল না তার। দ্বিতীয় বার আরো একবার সবকিছু ভুলে সংসার পাতার চেষ্টা করেছিলেন শ্বেতা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, দ্বিতীয়বারের সিদ্ধান্ত আরো একবার ভুল প্রমাণিত হল।
সম্প্রতি দুই সম্পর্কের ব্যর্থতা নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বারবার ভুল সিদ্ধান্তের ফলে শুধুমাত্র যে তার নিজের জীবনে প্রভাব পড়েছে তা কিন্তু নয়, তার সন্তানদের জীবনেও এর কু প্রভাব পড়েছে।
১৯ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেছিলেন রাজা চৌধুরীকে। সে বিয়ে টেকেনি তার বেশি দিন। ২০০৭ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তার। অভিনেত্রী রাজার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন গৃহস্ত হিংসার। প্রথম বিয়েতে তার একটি সন্তান রয়েছে যার নাম পলক। এরপর একাই সন্তানকে মানুষ করেছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর বড় মেয়ে খুব শীঘ্রই পদার্পণ করতে চলেছে রুপোলি পর্দায়।
২০১৩ সালে আরো একবার তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি বিয়ে করেন অভিনব কোহলি কে। দ্বিতীয়বার বিয়ের পর তার একটি পুত্র সন্তান হয় যার নাম রেয়ানশ। কিন্তু দ্বিতীয়বারের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হলো তার। তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
সম্প্রতি একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বারবার ভুল সিদ্ধান্তের ফলে এবং সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের বলে তার সন্তানদের ওপর খুবই প্রভাব পড়েছে। এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই মা হিসাবে চিন্তিত তিনি।
তিনি জানান যে, আমার বড় মেয়ে যখন ছয় বছর, তখন সেই আমাকে মার খেতে দেখেছে। বাড়িতে পুলিশ আসতে দেখেছে, মাকে থানায় যেতে দেখেছে, সবকিছু দেখেছে ও। এরপর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি আর থাকব না তার সাথে। এখন আমার ছেলের বয়স ৮ বছর। কিন্তু এই বয়সেই সে জানে পুলিশ এবং বিচারক কি। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সামলাবো তা নিয়ে খুবই চিন্তিত আমি। আমি চাই না তাদের ওপর আর কোনো প্রভাব পড়ুক আমার ভুল সিদ্ধান্তের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।