নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার আহমেদাবাদের পিচ নিয়ে সমালোচনা যেন থামছেই না। এবার এ তালকায় যোগ দিলেন সাবেক অস্টেলিয়ান কিংবদন্তী ক্রিকেটার মার্ক ওয়াহ। সাবেক এ তারকা ক্রিকেটার শুধু তৃতীয় টেস্টের পিচের সমালোচনা করেই থামেননি, তিনি প্রশ্ন তুলেছেন দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু চেন্নাই নিয়েও।
নাথান লায়নের একটি মন্তব্য তুলে ধরে ফক্স ক্রিকেট টুইট করে। তারকা অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার টার্নিং পিচকে ডিফেন্ড করে বলেছেন যে এই পিচে তিনি খারাপ কিছু দেখছেন না। ১০০টি টেস্ট খেলে থাকা অস্ট্রেলিয়ান এই বোলার পিচকে প্রশ্ন করা প্রশ্নের জবাবে চারজন ফাস্ট বোলার এবং একজন স্পিনার নিয়ে অবতরণে ইংলিশ দলের কৌশল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
লক্ষণীয় বিষয়, ক্রিকেটার হওয়ার আগে লায়ন পিচ কিউরেটর ছিলেন। এক্ষেত্রে, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের পিচকে ডিফেন্ডিংয়ের ক্ষেত্রে তার মতামত অনেকটা অর্থবোধ করে। লায়ন ছাড়াও অভিজ্ঞ ভারতীয় অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন পিচ নিয়ে বিতর্ককে রসিকতা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার লায়ন বলেছেন যে, আমি সারা রাত ম্যাচটি দেখছিলাম, পিচটি দেখার পরে, আমার খুব ইচ্ছা ছিল যে আহমেদাবাদ টেস্টের কিউরেটারকে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড এনে দিই। অশ্বিন ও অক্ষরের পারফর্মেন্স সত্যিই দারুণ ছিল। আমরা সব জায়গায় সিমিং উইকেটে খেলি, সেখানে ৬০ এবং ৪৭ এর মত স্কোরে অল আউট হয়ে যাই। কিন্তু সেই নিয়ে কেউ কিছু বলে না। কিন্তু যখন বলটি ঘুরতে শুরু করে এবং কোনও পিচে স্পিনাররা আরও ভাল করতে শুরু করে, পুরো বিশ্ব খারাপ পিচের জন্য পাগল হয়ে কাঁদতে শুরু করে। এই বিষয়গুলি আমার বোধগম্যতার বাইরে। আমার দিক থেকে, সবকিছু খুব বিনোদনমূলক ছিল।’
সেখানে লায়নের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন ওয়াহ। লায়নের সুরে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন পিচ গ্রহণযোগ্য নয় যেখানে টেস্টের প্রথম দিনেই স্পিনে টার্ন করে।’
এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমি স্পিনবান্ধব পিচের বিরুদ্ধে নই। তবে শেষ দুটি টেস্টের পিচ গ্রহনযোগ্যতার চেয়ে অনেক দূরে। প্রথম দিনেই পিচের এমন আচরন স্বভাবসুলভ নয়। এভাবে যদি চলতে থাকে একটা সময় পেস বোলাররা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
দুই দিনেরও কম সময়ে আহমেদাবাদ টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারানোর পর মাইকেল ভন টুইট করেছিলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের জন্য একটা ফালতু পিচ।’ দুই ইনিংসে ইংল্যান্ড যথাক্রমে ১১২ ও ৮১ রানে অলআউট হয়েছিল। রবীন্দ্র জাদেজা খেললে হয়তো স্কোর আরও কম হতে পারতো বলে আশঙ্কা করেন ওয়াহ, ‘জাদেজা খেললে হয়তো স্কোর আরও কম হতে পারতো। জো রুট যেই পিচে ৫-৮টি উইকেট পায়, তাই প্রশ্নের উর্ধ্বে নয়।’
এই টেস্ট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা রথী-মহারথীরা দুই ভাগে বিভক্ত। মাইকেল ভন, মার্ক ওয়াহ ও শোয়েব আকতারের মতো তারকারা এই পিচকে আদর্শ মানছেন না। অন্যদিকে এই পিচে দোষ দেখছেন না কেভিন পিটারসেন, নাথান লায়ন ও ভিভ রির্চাডসের মতো তারকারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।