এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
ডিরেক্ট মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রে টুইটারে আসতে চলেছে ভয়েস মেসেজিং ফিচার। আপাতত টেস্টিং মোডে রয়েছে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মের এই নতুন ফিচার। ভারত, ব্রাজিল এবং জাপান এই তিন দেশের ক্ষেত্রে ‘ভয়েস মেসেজিং ফিচার’-এর টেস্টিং শুরু হয়েছে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। শোনা যাচ্ছে, ডিরেক্ট মেসেজের ক্ষেত্রে এই সুবিধা চালু হবে।
ভয়েস টুইটের মতোই প্রতিটি ডিএম (ডিরেক্ট মেসেজ) ১৪০ সেকেন্ড অর্থাৎ আড়াই মিনিটের থেকে কিছুটা বেশি হবে। অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস, দুই ভার্সানের জন্যই চালু হয়েছে টেস্টিং ফিচার। ভয়েস ডিরেক্ট মেসেজ পদ্ধতি যথেষ্টই সহজ এবং সাবলীল প্রক্রিয়া। টুইটারের ডিরেক্ট মেসেজ অপশনে গিয়ে পূর্ববর্তী কোনও কথোপকথন খুলতে পারেন, বা ব্যবহার করতে পারেন নতুন চ্যাটবক্স। দু’ক্ষেত্রেই নিয়ম একই। প্রথম ভয়েস রেকর্ডিং আইকনে একবার ট্যাপ করতে হবে। এরপর ভয়েস রেকর্ডিং শুরু হবে। শেষ করার আগে ফের একবার ভয়েস রেকর্ডিং আইকনে ট্যাপ করতে হবে।
পাঠানোর আগে শুনেও নেওয়া যাবে এই মেসেজ। আইওএস ইউজারদের ক্ষেত্রে ভয়েস রেকর্ডিং আইকনকে ‘প্রেস অ্যান্ড হোল্ড’ পদ্ধতিতে চালু করে রেকর্ড করতে হবে। তারপর সোয়াইপ আপ অ্যান্ড রিলিজ করলে আপনাআপনি ওই ভয়েস মেসেজ চলে যাবে। আপাতত অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস ইউজারদের জন্য এই পরিষেবা চালু হলেও, ওয়েব ব্রাউজার মারফত বার্তা এলে তা শোনা যাবে।
টুইটার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মণীশ মাহেশ্বরী জানিয়েছেন, ভারতীয় বাজার অনেকদিন ধরেই তাদের প্রাধান্য তালিকায় রয়েছে। তাই বিভিন্ন ধরনের ফিচার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। আগামী দিনে এই ফিচার ইউজারদের কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, গতবছর জুন মাসে প্রথম ভয়েস টুইট চালু করেছিল কর্তৃপক্ষ। এই পরিষেবার সাহায্যে ইউজাররা ভয়েস নোট টুইট করার সুবিধা পান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।